কমিটির তরফে ইতিমধ্যেই সচিত্র পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে জেপি নাড্ডার হাতে। গত ১৩সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয় গঙ্গার দু’পাড়। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে রিপোর্ট দিল বিজেপির ৫ সদস্যের অনুসন্ধান টিম। রিপোর্টে সরাসরি নিশানা করা হয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকারকে। তোলা হয়েছে সিবিআই তদন্তের দাবি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফেও পৃথক তদন্তের আরজি জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৫ সেপ্টেম্বর হাতে টাকা আসবে? না জলের মতো খরচের দিন? রাশি মিলিয়ে জেনে নিন
রিপোর্টে পদ্মের অনুসন্ধান টিমের দাবি, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে পুলিশের। শাসকদলের নির্দেশেই পুলিশ নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে।তাই, রাজ্য পুলিশকে দিয়ে এই অশান্তির নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত হন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে বেরিয়েই হুংকার দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুসন্ধান-রিপোর্টে অভিষেকের এই মন্তব্যেরও উল্লেখ রয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট বিজেপি কর্মীদের উপর নির্মম পুলিশি অত্যাচারে তৃণমূল নেতৃত্বের সায় ছিল। শাসকের ফ্যাসিবাদী মানসিকতা নিয়েও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এখানেই শেষ নয়। রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি, নবান্ন অভিযানে বিজেপির ৭৫০ জন সমর্থক আহত হন। ৪৫ জন বিজেপি সমর্থকের এখনও কোনও খোঁজ নেই।
আরও পড়ুন: ২৫ সেপ্টেম্বর; দেবীপক্ষের সূচনা, দেখুন আজ সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী কেমন যাবে দিন
এই রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বঙ্গের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়েও। রিপোর্টে দাবি, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিলেই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাকে পিষে দেওয়া হয়। নবান্ন অভিযানের দিন মুখ ঢেকে হামলা চালিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গী ছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। কয়েকজন আইপিএসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে রিপোর্টে। নবান্ন অভিযানের দিনের পরিস্থিতিকে ভোট-পরবর্তী অশান্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে পদ্মের এই অনুসন্ধান-রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তৃণমূল- বিজেপি তরজা।