এ দিনই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যায় বিজেপি নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল৷ দলে ছিলেন ভবানীপুরে বিজেপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সাংসদ অর্জুন সিং, শিশির বাজোরিয়া, দীনেশ ত্রিবেদী এবং সৌমিত্র খাঁ৷ কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিজেপি নেতারা এমনও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান হিসেবে ভবানীপুরের উপনির্চানে প্রভাব খাটাতে পারেন ফিরহাদ হাকিম৷ পাশাপাশি শুধু পোলিং অফিসার নিয়োগ নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের নির্বাচনের কোনও রকম দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি জানান তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে ঘরোয়া আড্ডায় ‘ঘরের মেয়ে’ মমতা বন্দোপাধ্যায়! জনসংযোগে জোর দিয়ে সঙ্গী ফিরহাদ হাকিম...
ভবানীপুরের উপনির্বাচন এবং সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোটে তৃণমূল সংগঠনের জোর খাটিয়ে তাঁদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে বলেই বিজেপি নেতাদের আশঙ্কা৷ ফলে সব বুথে এজেন্ট দেওয়াও কঠিন হতে পারে বিজেপি-র পক্ষে৷ সেই আশঙ্কা থেকেই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বুথে এজেন্ট না রাখার পক্ষেও সওয়াল করেছেন বিজেপি নেতারা৷ পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানানো হয়েছে৷
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় খুশি নয় বিজেপি৷ কারণ এই সময়ে তারা নির্বাচন চাইছিল না৷ শুধু ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতারা৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করে বিজেপি৷ ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল শিবির যে অনেক এগিয়ে, তা ভালোই জানেন বিজেপি নেতারা৷ তার পরেও ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে জমি ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির৷