যদিও, বৈঠকে ডাক পাওয়া এক নেতার মতে, 'রাজ্য সভাপতির ভাষণে পুরভোটে তণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে একটা শব্দও খরচ না করে সিপিএমকে আক্রমণ করে কার্যত বামেদেরই প্রাসঙ্গিক করলাম আমরা।'
আরও পড়ুন: 'দায় চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না', জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়!
চার কর্পোরেশন ও ১০৮ পুরসভায় কোথাও বোর্ড গড়তে পারেনি বিজেপি। ১০৮ পুরসভায় বিজেপি সাকুল্যে আসন পেয়েছে ৬৩টি৷ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৩৮ শতাংশ৷ পুরভোটে তা কমে হয়েছে ১২ শতাংশ। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠ ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এই ফলকে গ্রহণ করেনি। বনধ ডেকেছে রাজ্য জুড়ে। যদিও, জনজীবনে সেই বনধ আদৌ কতটা প্রভাব ফেলতে পেরেছে তা নিয়ে সংশয় রয়ছে বিজেপিতেই।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের লাইন ধাক্কা! 'একলা চলো'র পথেই সওয়াল সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্মেলনে
এই আবহে আজ দলের সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য সভাপতির মুখ থেকে শাসক দল তৃণমূলকে নিশানা করে আক্রমণ শানানোর আশা করেছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু, তার বদলে শুনতে হল সিপিএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে ফিশ ফ্রাই জোটের পুরনো অভিযোগ। কলকাতা কর্পোরেশনের ভোটে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পর থেকেই সিপিএমকে তোল্লা দিয়ে বিজেপিকে খাটো করার চেষ্টা করছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হওয়া শুরু করে বিজেপি।
পুরভোটে সিপিএম তাহেরপুরে বোর্ড গড়তে সক্ষম হলেও, বিজেপি-র বোর্ড গড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। তার পরেই, বামেদের নিশানা করা শুরু করে বিজেপি। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে কিছু বাধ্যবাধকতা হয়ত থাকে। কিন্তু, দলের ''ক্লোজড ডোর " বৈঠকের আগে যদি এই বার্তা দেওয়া হয়, তাহলে কার্যত ভাবের ঘরে চুরি করা হবে। গতকালই সাংবাদিক সম্মলনে রাজ্য সভাপতি আত্মসমীক্ষার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, এই যদি সেই আত্মসমীক্ষার পরিণতি হয়, তাহলে বিজেপি-র দিশাহীনতা যে এখনও কাটেনি সেটাই আবার স্পষ্ট হয়ে গেল মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।