এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা , অমিত মালব্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। বিজেপি চায় না তাঁদের সামনে দলের মতানৈক্য প্রকট হোক, উঠে আসুক কোনও অনভিপ্রেত পরিস্থিতি। বিজেপির এক নেতার কথায়, এই বৈঠক ঘর গোছানোর বৈঠক, কোন্দল করার নয়।
ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসুকে। তিনি এমনকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল রাজীব এই বৈঠকে আসবেন কি আসবেন না তাই নিয়ে।
advertisement
শোনা যাচ্ছে, রাজীব এই বৈঠকে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর অপেক্ষা ছিল দলের তরফে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের। ইতিমধ্যে সক্রিয়তা বোঝাতে দলকে জোড়া চিঠিও দিয়েছেন তিনি। কাজেই আজকের বৈঠকে তিনি হাজির থাকলে খুব একটা অবাক হওয়ার নেই। বুঝতে হবে রাজীব বিজেপিতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন।
ভোট মিটতে বিজেপির অন্দরের শুরু হয়েছিল দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের পালা। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় পোস্টার পড়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে। দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অনেকেই। আজ বৈঠকে বক্তার তালিকা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নাম রাখা হয়নি। তিনি বৈঠকে শেষমেষ থাকবেন কিনা, থাকলেও স্থানীয় নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ উগরে দেবেন কিনা, নজর থাকবে সে দিকেই।