প্রসঙ্গত, দুর্গা পিতুরির বিপর্যয় নিয়ে কলকাতা পুরসভায় রিপোর্ট জমা দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। অধ্যাপকেরা ৯টি বাড়ির ফাটল বিপজ্জনক বলে জানিয়েছে রিপোর্টে। কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞরা ৮টি বাড়ি বিপজ্জনক চিহ্নিত করেছিল। বিশেষ করে ১৬, ১৬/১ ও ১৯ নম্বর বাড়ির ফাটল যথেষ্ট মাথা ব্যথার কারণ। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের কবে নিজ এলাকায় ফেরানো সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করতেই এ দিন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে দেখা করেন কল্যাণ চৌবেরা। একইসঙ্গে পুরোনো বাড়ি ও নতুন বাড়ির আইন নিয়েও যে জটিলতা আছে, তা কাটাতেও আলোচনা হয়েছে বলে দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার মুকুটে নয়া পালক, মহিলা কর্মসংস্থানে শীর্ষে বাংলা, কেন্দ্রীয় রিপোর্টে স্বীকৃতি
কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে কেএমআরসিএল। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আলোচনায় জানানো হয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। এদিন ছিল দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা। ১৪ মে একবার কেএমআরসিএলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপরও জোর দিচ্ছেন। তিন কাউন্সিলর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে চারজনকে নিয়ে একটি দল তৈরি করে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির যেমন তিন পুর কাউন্সিল সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝা থাকছেন, তেমন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে’কেও আহ্বান করেছেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। তাঁর দাবি, মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আবেদন করা হচ্ছে। যাতে তারাও এই বিপদে পড়া মানুষগুলোর জন্য একযোগে এগিয়ে আসুক।
AMIT SARKAR