এদিন ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবমাননার অভিযোগ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন অমিত শাহ লেখেন, ‘আজ মমতাদির আচরণ অধোগতির নতুন স্তরে নামল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই সময় আমাদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। দুঃখজনক ভাবে, দিদি তাঁর দম্ভকে জনকল্যাণের ওপরে জায়গা দিয়েছেন।’
একই কারণে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ গণতান্ত্রিক কাঠানোর পরিপন্থী বলে দাবি করেন তাঁরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে আজ যা ঘটেছে তা বাকরুদ্ধ করে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, এঁরা সংস্থা। দুজনে জনসেবার সংকল্প ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার শপথ নিয়ে পদে বসেছেন। বিপর্যয়ের সময় যখন প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করতে সেখানে পৌঁছেছেন তখন এই আচরণ পীড়া দেয়। জনসেবা ও সাংবিধানিক কর্তব্যের ওপর রাজনৈতিক ভেদাভেদকে স্থান দেওয়ার এ এক দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ। যা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভাবনাকে আঘাত করে।
বাংলা একটি ট্যুইট করে শুক্রবার বৈঠকে মমতার অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে লেখেন, ‘যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছেন, তখন মমতাজির উচিত ছিল, জনগণের কল্যাণে নিজের অহংবোধ বিসর্জন দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি আর সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার হত্যা’।
বিরোধী দলনেতা ও একসময়ের সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ট্যুইটার পোস্টে লেখেন, ‘আজ ভারতের দীর্ঘলালিত সহযোগিতমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি কালো দিন’। সেই সঙ্গে সরাসরি পর্যালোচনা বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ফের দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দুর্দশার প্রতি তিনি সংবেদনশীল নন’। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন ধনখড় এবং শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে ইয়াস-এর ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেন মমতা। কিন্তু পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেননি তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দিঘায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।
