ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার এবং বালুরঘাট স্টেশন, অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়গ্রাম, দিঘা, পুরুলিয়া স্টেশন থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিশেষ ৭টি ট্রেন যা ভাড়া করা হয়েছিল তা পৌঁছতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই ৭টি ট্রেন ভাড়া নিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। ট্রেন ছাড়াও প্রতি জেলা থেকে অন্তত ৫টি করে বাসে কর্মী-সমর্থকদের আসতে বলা হয়েছে। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভা করেছে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে দুর্যোগ অব্যাহত, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি আরও কতদিন চলবে জেনে নিন
নন্দীগ্রাম, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, তারকেশ্বর, উত্তরপাড়া, পাণ্ডুয়া-সহ একাধিক জায়গায় মিছিলে নেতৃত্বে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে। একাধিক মিছিলে, দুর্নীতি ইস্যুতে সভামঞ্চ থেকে চাঁছাছোলা ভাষায়, তৃণমূলকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ-সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীরা। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকাবেন না, ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁছবেন না, গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন। মারলে গায়ে দাগ থাকবে।’’ যে বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযানের খরচ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। TMC-র রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘১১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বৈদিক ভিলেজের আড়াই কোটির চিন্তন বৈঠক দেখেছি। লাভ হয়নি। একইরকম ভাবে নবান্ন অভিযানে এত খরচ করে লাভ হবে না। বাংলার বঞ্চনার টাকা খরচ করছে।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথম জমায়েত হবে কলেজ স্কোয়ারে। সেখান থেকে মাহাত্মা গান্ধি রোড ধরে মিছিল পৌঁছবে হাওড়া ময়দানে। যার নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাওড়া ময়দানে আসা দ্বিতীয় মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুপুর ১টায় মিছিল দু’টি হাওড়া ময়দান থেকে যাবে নবান্নর দিকে। সাঁতরাগাছি থেকে আর একটি মিছিলটি একই সময়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘যেখানেই আটকাবে, সেখানেই অবরোধ, প্রতিরোধ চলবে।’’