রবিবারের বৈঠকে সকলকেই কিছুটা অবাক করে দিয়ে সৌমিত্র বলেন, ‘যুব মানে লড়াই হবে। তবে তারই মধ্যে মাঝেমাঝে ভুলও হবে। আমারও কিছু ভুল হয়েছিল। ফেসবুকে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করাটা অবশ্যই আমার ভুল ছিল। সে জন্য সবার কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেই সৌমিত্রকে মুখ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশই পালন করেছেন সৌমিত্র।
advertisement
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই কেন্দ্রের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার পরই ক্ষোভে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেছিলেন সৌমিত্র। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু প্রসঙ্গে সৌমিত্রের মন্তব্য ছিল, ‘বিরোধী দলনেতা নিজেকে বিরাট করে জাহির করছেন। যখন উনি তৃণমূলে ছিলেন তখনও নিজেকে বিশাল কিছু মনে করতেন। এখন উনি যেমন করছেন, তাতে মনে হচ্ছে, বিজেপিতে শুধু ওঁরই অবদান আছে, আমাদের কোনও ত্যাগ নেই। নতুন নেতা হঠাৎ করে এসে যে ভাবে দিল্লির নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন, তাতে গোটা দল একটা জেলার মধ্যে চলে আসছে।' একইসুরে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও সৌমিত্রের কটাক্ষ ছিল, 'আমাদের রাজ্য সভাপতিকে কিছু বললে অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না।'
এরপরই সৌমিত্রের দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কি তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার জন্যই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ? যদিও তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা আগেই নাকোচ করে দিয়েছিলেন সৌমিত্র নিজেই। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সৌমিত্রকে ডেকে পাঠানো হয়। বৈঠক হয় অমিত শাহের সঙ্গেও। আর সেই বৈঠকের পরই ভোলবদল তাঁর। নিজের 'ভুলের' জন্য রীতিমতো ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হল সৌমিত্র খাঁ'কে।