আরও পড়ুন: 'প্রত্যেক ভারতবাসীর অন্তত একবার কলকাতার দুর্গাপুজো দেখা উচিৎ': নরেন্দ্র মোদি
রূপা লিখেছেন, 'আমার তো আর হোর্ডিং লাগাবার মতো ক্ষমতা নেই - থাকলে তোদের দু-জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম - আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব -'। প্রয়াত বিজেপি কাউন্সিলরের বিষয়ে রূপার মন্তব্য এই প্রথম নয়। এর আগেও বিজেপি-র ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে চলে যান এই তিস্তা ও গৌরবের ইস্যুতেই। তা নিয়ে বিস্ফোরক পোস্টও করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি, ইউনেসকোর ঘোষণায় তিলোত্তমার ঐতিহ্য
ডিসেম্বরের ১ তারিখ, পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিজেপি।সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় দলের রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে (Roopa Ganguly)। রূপা ভার্চুয়ালি হাজিরও হন। বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন কলকাতার দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরাও। তার পরেই তাল কাটে। প্রয়াত তিস্তা বিশ্বাস কলকাতা পুরসভার বিজেপির কো অর্ডিনেটর ছিলেন। কয়েক দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তিস্তার ওয়ার্ড থেকে তিস্তার স্বামী গৌরবকে প্রার্থী করার কথা থাকলেও অন্য একজনকে টিকিট দিয়েছে দল। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ ছিলেন রূপা।
সেই ঘটনার রেশ দেখা গেল ঠিক পুরভোটের মুখেও। ও দিকে রাজ্যসভার অধিবেশন চলছে, সেই কারণে এখন দিল্লিতেই আছেন রূপা। সেখান থেকেই চিঠি লিখেছেন তিনি। সেটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর পোস্টের উপরে লিখলেন, অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের কথা এসে ভিড় করছে। আমাকে অনেক শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল তখন। আজ আমি স্বীকার করি, আমি হয়ত রাজনীতির লোক নই। দল আমাকে তাড়াতে পারে, শো-কজ করতে পারে, সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু দল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে না।"