ত্রিপুরার পুর ভোটের আগে সেই উপস্থিতিকে ঘিরে যথেষ্ট নজরকাড়া রাজনৈতিক লড়াইও শুরু হয়েছিল। যদিও চলতি বছরে ত্রিপুরায় সেই ছবি ধরা পড়েনি৷ যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছে ত্রিপুরা বিজেপি৷ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পাপিয়া দত্ত জানিয়েছেন, "ত্রিপুরায় এক বছর আগেই ঘটা করে এক ঝাঁক সাংসদ নিয়ে এসেছিল, একবছর বাদে সব উধাও৷ আসলে ওরা মুখে বলেছিল সরকার গঠন করতে এসেছি। আসলে ওরা একটা গেম খেলতে এসেছিল।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'লতিফকে চেনেনই না', 'এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই'! আর সায়গেলের সম্পত্তি?... আচমকা 'আত্মবিশ্বাসী' অনুব্রতর উত্তরে থ সিবিআই
'খেলা হবে' দিবস উপলক্ষ্যে বহুদিন পরে ময়দানে প্রসূন বন্দোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল গতবার। রাজনীতির ময়দানে গত কয়েক বছর ধরেই তিনি গোল করছেন। এবার তারই সূত্র ধরে বাংলার পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার মাটিতে ফুটবল পায়ে নেমে পড়েছিলেন ফুটবলার-সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যেও 'খেলা হবে' দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মোতাবেক আগরতলার ময়দানে ফুটবল পায়ে নেমে পড়তে দেখা গিয়েছিল সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, সাংসদ আবু তাহের ও প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে।
তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরা রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাদের তরফে খেলা হবে দিবস পালন করা হয়েছে। গতবছর জার্সি পড়ে সকাল থেকেই আগরতলার রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন ত্রিপুরায় হাজির তৃণমূল সাংসদরা। খেলা হবে ও জিতবে ত্রিপুরা লেখা জার্সি পড়েই মাঠে নামেন তৃণমূল কর্মীরা।ওই দিন বনমালীপুর থেকে আস্তাবল ময়দান প্রায় ৩ কিমি রাস্তা মিছিল করেন তৃণমূল সাংসদ ও কর্মীরা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তাঁরা 'খেলা হ' দিবসের স্লোগান দিতে থাকেন৷ রাজপথেই ড্রিবল করতে দেখা গিয়েছিল সাংসদদের।
আগরতলার রাস্তায় এমন ছবি বিগত ৩-৪ বছরে হয়নি বলেই মত ছিল তৃণমূল নেতাদের। যদিও চলতি বছরে সেই ছবি ফুটে ওঠেনি৷ ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'সুরমাতে আমরা খেলা হবে দিবস পালন করেছি৷'