বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি সূত্রের দাবি, শুভেন্দুর অনুপস্থিতিতে বিজেপির বাকি বিধায়করা সেদিন বিধানসভার ভেতরে সোচ্চার হবেন। এমনকি বিধানসভায় প্রবেশ করতে না পারলেও ঘটনার প্রতিবাদে ৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভার গাড়ি বারান্দায় প্রতিবাদ অবস্থানে বসতে পারেন বিরোধী দলনেতা।
advertisement
ঘটনার সূত্রপাত, বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব এনেছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় নাটকীয় মোড় নেয় বিধানসভায়। বক্তব্য রাখছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার মেয়োরোডে তৃণমূলের ভাষা দিবসের মঞ্চ খোলার অভিযোগ উঠেছিল সেনার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে নিজের ভাষণে সেনার ভূমিকার সমালোচনা করেন ব্রাত্য। ঠিক তখনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাধা দেন। বলেন, ‘এভাবে ভারতীয় সেনা নিয়ে কথা বলা যায় না।’ এরপরই তিনি একাধিকবার উচ্চস্বরে ‘ইন্ডিয়ান আর্মি জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সতর্ক করেন। কিন্তু শুভেন্দু তাতে কর্ণপাত করেননি বলেই অভিযোগ।
বিধানসভা কক্ষের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শেষমেশ শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। কিন্তু গতকাল বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই হুংকার দিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন অধিবেশনের শেষ দিনে সকল বিজেপি বিধায়ক বুঝিয়ে দেবে সকলেই তারা বিরোধী দলনেতা। তাদের প্রতিবাদ রাজ্য সরকারের বিধায়কদের ভয় ধরাবে বিধানসভার ভিতরে বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকাকালীন কোনও প্রতিবাদ আসে কিনা বিজেপির তরফে সেটা দেখার।