মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা থেকে বেরোতেই সারের কালোবাজারির ইস্যুতে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব দেয় বিজেপি। কিন্তু প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
অধিবেশন কক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরোতেই পরেই হট্টগোল শুরু বিজেপি বিধায়কদের। বিজেপির দাবি সারের কালোবাজারি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যদিও বিধানসভায় উপস্থিত থাকার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সার আসলে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে। সার নিয়ে একাধিকবার চিঠি লিখেছি। চুক্তির পরেও দেখা যাচ্ছে সার পাওয়া যাচ্ছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। এতে চাষীদের সমস্যা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন, রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সিভি আনন্দ বোস, অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত শুভেন্দু অধিকারী
পাশাপাশি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের অনেকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা যেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং সার যাতে কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক সময়ে দিয়ে দেয়। এ নিয়ে বিরোধী বিধায়কদের সরব হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন, পুরকাজে দক্ষদের বেছে নেওয়া হবে, পুরসভার কাজে গতি আনতে মিউনিসিপ্যাল ক্যাডার তৈরি করতে চায় রাজ্য
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আওয়াজ তুলতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের দাবি, সারের কালোবাজারি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সারের বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ তুলে গেলেন, তা মানতে নারাজ বিজেপি বিধায়করা। ফলে সোমবার, মঙ্গলবারের পরেও বুধবারও উত্তপ্ত হল রাজ্য বিধানসভা।