সূত্রের খবর, যত দ্রুত ও যত বেশি সম্ভব আবেদনপত্র যাতে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সে কথাই এদিন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বলেছেন বিএল সন্তোষ। এদিন প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে চলে সিএএ নিয়ে বৈঠক। ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ সহায়তা ক্যাম্প বা শিবির খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মতুয়া, উদ্বাস্তু মানুষদের ভিড় রয়েছে, এমন জেলাগুলির উপর আলাদা নজরদারির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বনগাঁ, নদিয়া। এই দুই জেলার বিধায়করাও এদিন উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ওই সব বিধানসভার অধীনে থাকা প্রত্যেক মণ্ডলে তিনটি করে ক্যাম্প বা শিবির খুলতে হবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। কারা কারা এই কাজে দায়িত্ব পেলেন, কারা দায়িত্ব পাবেন, তার তালিকা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দেশভাগের সময় বা তার পরে যে পাপ করেছে কংগ্রেস, সেই পাপমুক্তি বা প্রায়শ্চিত্ত করছে বিজেপি। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পক্ষে। এটা আমাদের ঘোষিত অবস্থান। তার জন্য আমরা ক্যাম্প করব, অর্থ সাহায্য করব। বিজেপি যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ একজন উদ্বাস্তু হিন্দুর কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”
advertisement
তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বিজেপির এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, “এসআইআর কার্যকর হলে সবথেকে বেশি নাম বাদ যাবে মতুয়াদের। তারাই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাদেরই এবার চিন্তা করার পালা।” তবে আগামী নির্বাচনে বিজেপি এস আই আর বা CAA ইস্যু নিয়ে কতখানি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে পারবে সেটা দেখার।