স্বাধীনতা দিবসের আগে ও পরে খেলাকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়ল যুযুধান দু’পক্ষ। সায়ন্তন বসুর কথায়, "আজ, ১৩ অগস্ট রাজ্যজুড়ে ফুটবল ও কবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি আমরা। গ্রাম-শহরের ছেলেদের নিয়ে ফুটবল-কবাডি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। এদিন থেকে তা চলবে। এ রাজ্যে ক্লাবগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়, খেলার সংস্থাগুলির মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইরা বসে রয়েছেন। বাংলায় খেলার কোনও প্রসারও নেই।' একই বক্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও।
advertisement
ইতিমধ্যেই ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে দিবস’-এর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। শুধু বাংলায় নয়, ত্রিপুরা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। তাই এ রাজ্যের শাসক দল যাতে ফাঁকা মাঠ না পায়, সেই কারণেই খেলার পথেই পথে বিজেপিও। ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচির ব্যানারে ১৩ অগস্ট, ‘ক্রীড়া দিবস’ পালন করছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, ১৬ অগস্ট দিনটি রাজ্য সরকার ‘খেলা হবে দিবস’ ঘোষণা করায়, তাতে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হয়েছিল কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, খেলা হবে দিবস নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু ১৯৪৬, ১৬ অগস্ট গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং হয়। রাজ্যপালকে তাঁরা জানিয়েছেন এই দিনটা যাতে বদলানো হয়, তা দেখতে।