#কলকাতা: এ যেন মেঘ না চাইতেই জল। বোঝানোর দায়িত্ব যাঁর কাঁধে, বোঝাতে তো কিছুই হল না উল্টে নতুন কিছু তিনি নিজেই শিখে নিলেন। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মানুষকে বোঝাতে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যজুড়ে বড়, মেজো, সেজো, সব বিজেপি নেতা এই মুহূর্তে জনসম্পর্ক অভিযানে ব্যস্ত।
advertisement
বিধান নগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের কাঁধে বেহালার দায়িত্ব। রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ জনসম্পর্ক অভিযানে নামলেন জোড়া ফুল ছেড়ে আসা নেতা। হাতেগোনা কিছু বিজেপি ফ্লাগ সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি । সবমিলিয়ে বিজেপির জমায়েত মেরেকেটে ৫০। তাদের নিয়ে জেমস লং সরণির এপাশ-ওপাশ, অলি-গলি-তস্য গলি ঘুরে বেড়ালেন সব্যসাচী। রবিবারে সব্যসাচীর লক্ষ্যভেদ বলতে যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া, আর তাদের নতুন নাগরিক আইন বুঝিয়ে দেওয়া। সব্যসাচী দত্ত নিজেও একজন আইনজীবী। ভালই বোঝেন সিটিজেন্স আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ও তার আদি-অন্ত ।
বেহালা, শীলপাড়া, মাঝেরপাড়া, পূর্বপাড়া পেরিয়ে পদ্ম শিবিরের জনসম্পর্কের যাত্রা যখন পৌঁছলো রবীন্দ্রনগর কলোনিতে তখন বেজায় খুশি সব্যসাচীবাবু। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, তিনি নিজে যতটা ভাল বোঝেন তার থেকেও ভালো করে তাঁকে নয়া নাগরিক আইন বুঝিয়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এ যেন হাতে চাঁদ পাওয়া।
উচ্ছ্বাস চেপে না রেখে সব্যসাচী দত্ত জানালেন, বলতে কোন দ্বিধা নেই নতুন নাগরিক আইন এই এলাকার মানুষ আমার থেকে বেশি বোঝেন। নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োজনীয়তাও ভালোই বোঝেন এখানকার মানুষ। মিছিল যত এগুলো ততই মুখের হাসি চওড়া হল প্রাক্তন বিধাননগর মেয়র-এর।
চওড়া হাসি মুখে নিয়েই তার বক্তব্য, " ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করা হচ্ছে নতুন নাগরিক আইন-কে নিয়ে। বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে, তবে কোণঠাসা শেষ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল হবে তা সময়ই বলে দেবে। "
পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান। পুলিশের অনুমতির তাই সেভাবে প্রয়োজন পড়েনি। রবিবারের পারফরম্যান্স ধরে রেখে আরও লম্বা ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখছেন বিজেপির সব্যসাচী।