১০ডিসেম্বর ২০১৮, এমনই বার্তা জড়ানো ফোন আসে একদা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সুজিত শ্যামের কাছে। ওই দিন দুপুর ২টো ৫৩, ২টো ৫৪, ৪টে ৭ এবং ৪টে ১১ মিনিটে মোট চারবার মুকুলের নাম নিয়ে ফোন আসে সুজিতের কাছে। বিষয়টি গোলমেলে ঠেকে সুজিত এর কাছে। কালীঘাট থানায় অভিযোগ জানান তিনি। এরপর আলিপুর আদালতের নির্দেশে এফআইআর রুজু করেন কালীঘাট থানা।
advertisement
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ কালীঘাট থানার এফআইআর-এ অভিযোগ আনা হয় দুজনের নামে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এবং মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে হয় এফআইআর। কালীঘাট থানা তদন্ত শুরু করে। কিছুদিন আগেই মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতারের আশঙ্কা তৈরি হয় বিজেপি নেতার মনে। প্রতারণার এফআইআর খারিজ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল।
সোমবার মুকুলের মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। সরকারি আইনজীবী মধুসূদন শূর আদালতের কাছে জানান, তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করছেন না মুকুল রায়।
অন্যদিকে, মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত জানান, দু বছর আগের একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। কোনও নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি নেই পুলিশের কাছে, এই এফআইআর খারিজ করুক আদালত। যদিও দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর কালীঘাটের প্রতারণার মামলায় কোনরকম রক্ষাকবচ এদিন মুকুল রায়কে দেয়নি হাইকোর্ট। কাজেই এখনও অক্ষত মুকুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা এফআইআর। সেক্ষেত্রে মুকুলের গ্রেফতারি আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এদিন নির্দেশে জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি২০২০ সকাল সাড়ে ১১টায় কালীঘাট থানার তদন্তকারী আধিকারিক-এর মুখোমুখি হবেন মুকুল রায়। তার দুদিন পর প্রতারণার মামলাটি শুনানির জন্য ফের আসবে হাইকোর্টে।
কী এমন আছে সিডিতে যার দাম দেড় কোটি টাকা! সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং আর এক বিজেপি শীর্ষ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় কথোপকথনের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল রায়। সূত্রটির আরও দাবি, কথোপকথনের ওই অংশের মধ্যেই দেড় কোটির সিডি'র চাবি লুকিয়ে রয়েছে। কলকাতা পুলিশও তাই হন্যে হয়ে খুঁজছে ওই সিডির সূত্র।
ARNAB HAJRA