ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জিতবেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury)৷ জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর চৌধুরীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷
বৃহস্পতিবারই ভবানীপুরে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে৷ মূলত মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের মার্জিন কমানোই বিজেপি-র প্রাথমিক লক্ষ্য৷ মুখে স্বীকার না করলেও রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে এখন এই নিয়েই চর্চা চলছে৷ এরই মধ্যে বিজেপি-র অস্বস্তি বাড়ালেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের মার্জিন কমানো নিয়ে অঙ্ক কষছে, সেখানে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 'আমি বিজেপি প্রেমী৷ তবূু ভবিষ্যদ্বাণী করতে বাধ্য হচ্ছি যে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হবেন৷ বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে যে ভুল করেছিল, ভবানীপুরেও তাই করল৷ বাংলাকে জয় করতে গেলে প্রথমে তোমাকে বাঙালি হতে হবে৷ কোনও অবাঙালি এসে চট করে বাংলার মন জয় করে যাবে, এটা সম্ভব নয়৷'
advertisement
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে ভোটের হার বাড়লে কার লাভ? নৈতিক জয়ের অঙ্ক বিজেপি-তে, স্বস্তি তৃণমূলে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও ভবানীপুরে জিতেছেন, এবারেও জিতবেন৷ কিন্তু আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যদি ভোট দিতেন তাহলে বার্তা যে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জয়ী করেছেন৷'
জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর চৌধুরীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর জবাব, 'যাঁরা নির্বাচনে কাজ না করে ঘরে বসে বসে এসব বলেন, তাঁদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই৷ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করা হয়েছিল বলে ভবানীপুরে লড়াই হয়েছে৷ এতে ওখানকার মানুষ খুশি৷ বাড়িতে বসে, ফেসবুক, ট্যুইটারে তো অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারেন৷'
অধীর চৌধুরীকেও কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'অধীর চৌধুরী তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছেন৷ পার্টিটাই ওনার হাতে দিয়ে দিন, তাহলেই ঝামেলা মিটে যায়৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তো দুই ম্যাডামের এটা নিয়েই কথা হয়েছে৷ সেই মতো কংগ্রেস এখানে তৃণমূলকে ছেড়ে দিয়েছে৷ তাই অধীরবাবুর কোনও কাজ নেই৷'
