প্রথমেই জঙ্গি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন৷ বলেন, 'অন্য রাজ্য থেকে এসে এখানে লুকিয়ে থাকে। অন্য রাজ্যের পুলিশ এসে ধরে। এই রাজ্য হচ্ছে এদের আড্ডা।' একই সঙ্গে ভাঙড়ে বোমা কারখানা নিয়েও ক্ষোভ বর্ষণ করেন৷ তাঁর কথায়, 'এটাই এখন এ রাজ্যের একমাত্র শিল্প। প্রোপ্রাইটার তৃণমূল নেতারা। মাঝে মাঝে টেস্ট হচ্ছে। নিজেদের পার্টির মধ্যে হচ্ছে। মাঝে মাঝে অন্যের ওপর হচ্ছে। মানুষ চিন্তিত। এলাকা মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে। পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আওয়াজ নেই।'
advertisement
আরও পড়ুন: অধিকারীদের 'শান্তিকুঞ্জে' হাইকোর্টের 'সুরক্ষা বর্ম'! কাঁথিতে অভিষেকের সভা নিয়ে 'বড়' নির্দেশ আদালতের!
আগামিকাল কাঁথিতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার উত্তর, 'জানিনা কেন যাচ্ছে? ওদের আর কোনও ইস্যু নেই৷ কাউকে আটকাতে পারছে না। তাই আমাদের নেতার বাড়ির সামনে সভা করে উৎপাত করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। এতো মারপিট নিজের দলে, অন্যের বাড়ির সামনে গিয়ে লাভ কী? আগে ঘর সামলান!'
প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিযেছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে চোর বললে বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করুন।’ তার পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, 'চোরকে চোর বললে খারাপ লাগবেই। কানাকে কানা বলা যায়না। খোঁড়াকে খোঁড়া বলা যায়না। শুনতে খারাপ লাগে। কিন্তু উপায় কী বলুন! চোর তো চোরই। আমরা একা বলছি না। সারা দেশ বলছে। কোর্ট বলছে। সিবিআই বলছে। না হলে তোমাদের লোকেরা জেলে কেন? চুরি কর কেন?'
বিজেপিকে সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দিযেছেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি অসামাজিক দল, দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয়। সমাজকে বাঁচাতে হলে বিজেপিকেই বয়কট করতে হবে’, দিলীপ ঘোষের জবাব, দুবার হেরেও বুদ্ধির উদয় হয়নি। লোকসভা হেরেছেন। বিধানসভা হেরেছেন। এখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই সব বলছেন। মানুষ জবাব দেবে।
বাংলাকে ঘিরে একাধিক ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের গলায়। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, 'বাংলাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।' তাঁকে নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদের মন্তব্য, 'উনি চাইছেন পশ্চিমবঙ্গ দেশকে নেতৃত্ব দিক। কিন্তু এখন নেতৃত্ব দেওয়ার লোক নেই। মুখ্যমন্ত্রী দেশের নেতা হতে চাইছেন। আগে পটনা, লখনউ যেতেন চা খেতে। এখন আর কেউ ডাকে না। তাই চেন্নাই যাচ্ছেন। যার স্বীকৃতি তাঁর নিজের রাজ্যে নেই, তিনি দেশকে কী নেতৃত্ব দেবেন? পশ্চিমবঙ্গ জাগুক। এ রাজ্য থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছে , সেনাপ্রধান হয়েছে, জলসেনা প্রধান হয়েছেন। আজ বাংলার সব থেকে দুর্দশা। চোর ডাকাত গুন্ডা বদমাশ বাংলার নেতৃত্ব দিচ্ছে।'
আমতা প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, 'পুলিশ ঢিলেঢালা। তাই মানুষ কোর্টে যাচ্ছে। পুলিশের ওপর কারুর ভরসা নেই। তৃণমূলের লোকেদেরও ভরসা নেই। যেখানে মার্ডার হচ্ছে, সেই পরিবারের লোকেরা সিবিআই চাইছে। পুলিশের যে কাজ, সেটা না করে তারা রাজনৈতিক কাজে লিপ্ত। তৃণমূলকে জেতানো, বিরোধীদের আটকানো। এই করে পুলিশের দক্ষতা শেষ হয়ে গেছে।'
মোটের উপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে রাজ্য-রাজনীতি বেশ সরগরম, দিলীপ ঘোষের কথায় তা স্পষ্ট৷ ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে হুঁশিয়ারি৷