শমীক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য বাম এবং কংগ্রেসের পুরনো অভিযোগের প্রতিধ্বনি। শমীকের দাবি, কংগ্রেসকে দুর্বল করতে এবং বাংলায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বিজেপি এই কৌশল নিয়েছিল। শমীক ভট্টাচার্য তৃণমূলকে একটি ‘দুরন্ত বাচ্চা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন, যাকে বঙ্গবাসী সামলাতে পারছে না। তিনি বলেন, বিজেপি কোনও দল ভেঙে তৈরি হয়নি, বরং নিজেদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে ২ থেকে ৩০৩ আসনে পৌঁছেছে।
advertisement
শমীকের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এখন একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি। তিনি আরও বলেন, তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো। শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হলে একটাই পথ, তৃণমূলের বিসর্জন।”
শিল্প এবং কৃষির সহাবস্থান প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “জমি দিলে কৃষকদের শিল্পেও অংশীদারিত্ব দিতে হবে।” তিনি বলেন, বাংলার শিল্প-ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরি করা জরুরি। সেই লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে ‘নতুন কলকাতাকে দেখতে চান মানুষ’- এই দাবিও তোলেন তিনি।
শমীকের দাবি, অশোকনগর ও রানাঘাটে তেলের খনি এবং পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রানাঘাটে তেলের খনি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তিনবার চিঠি দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার তাতে কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘আমাদের এখানে সমুদ্র, নদী, মেধা- যা চাই সবই আছে, শুধু সদিচ্ছা নেই। সেই সদিচ্ছা নিয়েই আমরা এগোতে চাই।’ শমীকের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে এখন শাসক দলের প্রতিক্রিয়া কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।