সোমবার কলকাতায় বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বে। সাংগঠনিক রদবদলের বিষয়টিও সেখানে উঠে আসবে বলে খবর। আর তার আগেই দিল্লির নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে দিলীপ ঘোষের। বিজেপি সূত্রের খবর, আপাতত দিলীপ ঘোষকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে, দলকে মজবুত করতে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে। আর সেই রদবদলের রাশ থাকছে দিলীপ ঘোষের হাতেই। তিনদিন ব্যাপী হতে চলা এই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ ও নদিয়া জেলাকে বাদ রাখা হয়েছে। দিলীপ ঘোষও বলেছেন, 'আমাদের দলে অনেক নতুন লোক এসেছেন। আমরা বিরোধী দল হয়েছি। এবার আমাদের রদবদল করা হতেই পারে। পরিবর্তন সময়েরই নিয়ম।'
advertisement
যদিও বিজেপি সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দিলীপ ঘোষের কাছে দলের নতুন রাজ্য সভাপতির জন্য নাম প্রস্তাব করতে বলেন। জানা যায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন দিলীপ নিজেই। সেই তালিকায় আরও কিছু নাম থাকলেও সুকান্তর নাম নিয়েই চর্চা হয়েছিল বেশি। বিজেপির অন্দরে সুকান্ত দিলীপ-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। যদিও অন্যান্য অনেকের তুলনায় সুকান্ত তেমন পরিচিত মুখ নন। তবে, নিজের এলাকায় বারবার সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু দিলীপ ঘোষের বিকল্প কি হয়ে উঠতে পারবেন এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির আর কোন নেতা? ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সভাপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে দিলীপ ঘোষের। দু'বার রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন দিলীপ। তাই দলীয় নীতিতেই তিনি আর রাজ্য সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে সভাপতি পদ যাওয়ার পর দিলীপ ঘোষকে পুরস্কৃত করা উচিৎ বলে মত অনেকের। কারও কারও ধারণা ছিল, নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে জায়গা হতে পারে দিলীপের, কিন্তু তাও হয়নি। সেক্ষেত্রে আরও কিছুদিন দিলীপকেই সংগঠনের মুখ রেখে দিতে চাইছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব, সূত্রের খবর এমনটাই।