কালীপুজো বা দুর্গাপুজো নয়, বাজি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নৈহাটি থেকে চুঁচুড়া ৷ শব্দের অভিঘাতে ভেঙে পড়ল বাড়ির জানলার কাঁচ, তাক থেকে পড়ে গেল বাসন ৷ ক্ষতিগ্রস্থ গাড়িও ৷ নৈহাটির রামঘাটের ঘটনা ৷ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানুষ ৷ অনেকে ভাবেন ভূমিকম্প হচ্ছে ৷ গঙ্গার এপারে বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠল গঙ্গার ওপার। নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিপত্তি। বাজির তীব্রতায় নৈহাটিতে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল, মাশরুম ক্লাউড দেখতে পাওয়া গেছে। কেঁপে ওঠে গঙ্গার ওপারে চুঁচুড়াও। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি, নদীর দুপাড়েই একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।
advertisement
প্রথমে নৈহাটি,তারপরে চুঁচুড়ায় যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিস্ফোরণ নিয়ে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘বাজি নয় সব বিস্ফোরক ছিল ৷ পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপের উপর বসে রয়েছে ৷ এতে জেহাদি যোগ রয়েছে কিনা দেখতে হবে ৷ এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত চাই ৷’ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও৷ তিনি লিখেছেন, ‘এই বিস্ফোরণ কল্পনাতীত ৷ কী কারণে এই গুরুতর বিস্ফোরণ ও তার তীব্রতা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দেখা উচিত ৷ বিশেষজ্ঞ তদন্তই আসল সত্য খুঁজে বার করতে পারবে ৷ এই কারণে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হোক ৷ এই ঘটনাই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকর্তাদের চোখ খুলে দেবে আশা করি ৷’
একই সুরে অভিযোগ পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের ৷ বলেন, ‘বিস্ফোরককে বাজি বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজি-বিস্ফোরক এক করে দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত-পুরসভার আগে এ সব বেশি করে হয় ৷’ এই অভিযোগ খারিজ করে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘রাজনীতির কথা বলছেন। বিস্ফোরকের কথা ওনারাই ভাল বোঝেন। ওনার দলেই তো অর্জুন সিংয়ের মতো নেতা আছে। তদন্ত করার দাবি যে কেউ করতে পারেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে কী হয়েছে।’ এ সব দেখে অনেকে বলছেন, নৈহাটিতে বিস্ফোরণ কাঁপিয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিও। তাই, তরজাও তুঙ্গে।