এ দিন কমিশনে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বিজেপির প্রতিনিধি শিশির বাজোরিয়া এবং তথাগত রায়। শিশির বাজোরিয়া বলেন, আমরা অতীতে কখনও দেখিনি প্রার্থী একটি বুথে গিয়ে দুঘণ্টা বসে রয়েছে। এতে নন্দীগ্রামের ভোটদান প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী নিশ্চয়ই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, কিন্তু আইনভঙ্গের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এমন কিছু করতে পারেন না। এর উদ্দেশ্য একটাই ভোটের গতি শ্লথ করে দেওয়া। শিশির বাজোরিয়ার অভিযোগ, তৃণমূল বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তথাগত রায়ও। তিনি বলেন,তৃণমূল যা করেছে তা ঠিক নয়। আমরা কমিশনে গোটা বিশয়টি জানিয়েছি।
কিন্তু বিজেপির এই উষ্মার কারণ কী? কী করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? নন্দীগ্রামের ভোট উৎসবে সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘর থেকেই গোটা বিষয়টিতে নজর রাখছিলেন। নানা জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসলেও, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে বয়াল থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১ টা ১৫ নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বয়াল সাত নম্বর বুথে। রীতিমতো ধর্ণার কায়দায় দুইঘণ্টা ওই বুথেই বসে থাকেন তিনি। ওই জায়গা থেকেই যোগাযোগ করেন রাজ্যপালের সঙ্গে, ওখান থেকেই রাইটিং প্যাডে চিঠি লেখেন কমিশনে। আদালতে যাওয়ার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। বাইরে ততক্ষণে যুযুধান দুইপক্ষ রীতিমতে একে অন্যের বিরুদ্ধে ফুঁসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার অভিযোগ করেন, বহিরাগতরা এই বুথে ভোটদান প্রক্রিয়া ব্যহত করেছে।
আসরে নামেন নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন এই অশান্তির পুনরাবৃত্তি হবে না। বাকি সময়টা স্বচ্ছভাবে ভোট হবে। তারপরেই জায়গা ছাড়েন মমতা। বিজেপির দাবি এই ঘটনার ফলে ভোটদান প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়েই কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
