শুধু খোঁজখবর নেওয়াই নয়, আগামী দিনে তাঁদের যদি আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বকে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিশের লাঠির মারে তাদের একাধিক নেতাকর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ করেন বাংলার পদ্ম নেতারা। বিজেপির অনেকেই সে দিন আহত হন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতে প্রথমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন।
advertisement
কমিটি গঠনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গে এসে আহত কর্মী সমর্থক নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরপরই কলকাতায় দুদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, পূর্ণ সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে এবং সহ পর্যবেক্ষক আশা লাকড়ারাও পৌঁছে যান আহতদের বাড়িতে। বিজেপির নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার হয় হাওড়া, কলকাতায়।
আরও পড়ুন- দেবীপক্ষে বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির, ‘মুখ’ মিঠুন চক্রবর্তী
বিজেপির অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের উপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার বঙ্গে বিজেপির ৫ সদস্যের অনুসন্ধান টিম এসে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে তারা রিপোর্ট দেবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। এরই মাঝে আহতদের দেখতে ময়দানে নামেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রথমে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে বিজেপি কর্মী সুবোধ দাসের বাড়ি যান বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। সুবোধ দাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেলেঘাটায় রীতা রজকের বাড়ি যান বনসল। এরপর শ্যামবাজারে ঈশ্বর দয়াল সাউয়ের বাড়িতে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখান থেকে কাশীপুরে সন্দীপ প্রজাপতির বাড়ি। তারপর পাইকপাড়ায় গীতা সাহার বাড়ি যান সুনীল বনসল। এরপর মানিকতলায় শিবাজি সিংহ রায়ের বাড়িতে যান বনসল। সবশেষে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবি পুরোহিতের বাড়ি গিয়ে তাঁর খবর নেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমদারও পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। সোদপুেরর বিজেপি কর্মী রাজকুমার দাসের বাড়ি যান বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। সোদপুর থেকে পানিহাটির বাসিন্দা জয় ভট্টাচার্যের বাড়ি যান মঙ্গল পাণ্ডে। এরপর উত্তর দমদমের পার্টি অফিসে যান। সেখানে দেখা করেন মহিলা মোর্চার নেত্রী রমা দাস ও বিজেপি কর্মী সুমন কুণ্ডুর সঙ্গে। এছাড়াও দমদমের বাদরাবাজারে অসীম রায় নামে আরেক বিজেপি কর্মীর বাড়িও যান মঙ্গল পাণ্ডে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনোবল যাতে না ভেঙে পড়ে সেই কারণেই কর্মীদের দুয়ারে পৌঁছে গিয়ে পর্যবেক্ষকরা নীচু তলার কর্মীদের বার্তা দিলেন ‘পাশে আছি’।