তিনি বলেন, ‘‘আবাস যোজনার সমীক্ষার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের দ্বারা যা উঠে এসেছে, তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আরও একটি বড় দুর্নীতি প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২০ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। তার মধ্যেও ব্যাপক দুর্নীতি উঠে আসে। তার তদন্তে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে একাধিক নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু সেগুলি মানা হয়নি। এরপর ২০২২-২৩ এর টাকা আটকে রয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য বাড়ি তৈরি করে দেবে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু করে রাজ্য সরকার। ডিএম, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি সিদ্ধান্ত হয়, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি যেন এই সমীক্ষায় না থাকে। শুধুমাত্র যেন যোগ্য ব্যক্তিই বাড়ি পায়। ২৯ তারিখ যে প্রেজেন্টেশন হয়েছে, সেই তথ্য বলছে ২২.৭৬ মানুষ অযোগ্য। এর মধ্যে নির্বাচনী আচরণ বিধি চলার কারণে পাঁচটি জেলায় হয়নি সমীক্ষা। নদিয়া জেলায় সর্বাধিক এই অযোগ্য বাড়ি প্রাপকের সংখ্যা, যেটা রাজ্য তালিকা বানিয়েছিল। এরপর মালদহ, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং হুগলি।”
advertisement
রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ” এটা আপনার আমার কষ্টের উপার্জনের করের টাকা।অযোগ্যরা এই বাড়ির টাকা পেতে চলেছিল। এর মোট টাকা ১২ হাজার তিনশো কোটি টাকা। এটা রিলিজ হয়নি। কিন্তু যে টাকা বেরিয়ে গিয়েছে তার কী হবে?” তিনি আরও বলেন, ২০১৬-১৭ সাল থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি সংকসন করেছিল কেন্দ্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই দুর্নীতি। আবাস এর টাকা নিয়ে ফের কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানাবে বিজেপি। ED তদন্ত চেয়ে। আগের অর্থবর্ষে আবাস এর টাকা লুঠের বিরুদ্ধে। এই সমীক্ষা করানো হয়েছিল আশা কর্মী, অঙ্গণয়ারি কর্মীদের দিয়ে। ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে অযোগ্যদের কাছে। ৪১ হাজার কোটি টাকা মোট খরচ হয়েছিল।
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ” আমরা সরাসরি এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব পার্টির তরফে যাতে এই বিরাট দুর্নীতির বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত শুরু করে। সমীক্ষকদের যোগ্যরা ঘিরে ধরছে, কিন্তু অযোগ্যদের নামে বাড়ি এলরোলমেন্ট করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটার রিকভরি কে করবে? প্রধানমন্ত্রী ৪৫ লক্ষ মানুষের টাকা দিতে প্রস্তুত। অযোগ্যদের বাড়ি বাদ দিন। সমীক্ষা কারা করেছিলেন, কাদের মারফত এই দুর্নীতি হয়েছে এই বিষয়গুলি জানাতে হবে তদন্ত করে।সমীক্ষা করে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য,এই দুই তালিকাই টাঙিয়ে দিতে হবে। ব্লক অফিসে নয় পঞ্চায়েত অফিসে।”