লক্ষ্যভেদ কি হল? বিজেপি সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা গেলেও তা মূলত তৃণমূল বিরোধী প্রচার-মঞ্চে পরিণত হয়। ৪২টি সাংগঠনিক জেলাতেই ঘটা করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা যান অনেক জেলাতেই। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই কর্মসূচি থেকে সবথেকে বড় প্রাপ্তি হল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে শান দেওয়া গিয়েছে। পরোক্ষে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারও শুরু করা গিয়েছে। কিন্তু, প্রাপ্তির পাশাপাশি অপ্রাপ্তির তালিকাও কম দীর্ঘ নয়। বিজেপি সূত্রের দাবি, শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দিলেও, নিজেদের ঘরোয়া কোন্দলে লাগাম পরানোর তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি এই বিজয়া সম্মেলনে।
advertisement
আরও পড়ুন- আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কালীপুজোর উদ্বোধন
একাধিক জায়গায় কর্মসূচিতে দেখা মেলেনি বিজেপির আদি নেতাদের। অথচ, বিজেপির যে বিজয়া-নির্দেশিকা ঘিরে সম্প্রতি বিতর্ক বাধে তাতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা ছিল, আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা। তারপর লিখিত নির্দেশিকা। তা সত্ত্বেও লক্ষ্যভেদ হল কি? উঠছে প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিল, উৎসবের মরশুমে আন্দোলন নয়, কিন্তু নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী উদযাপনের পর কালী পুজোতেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিংবা দিলীপ ঘোষের মত প্রথম সারির পদ্ম নেতাদের দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কালীপুজোর উদ্বোধনে অংশ নিতে। উদ্বোধনের পাশাপাশি জনসংযোগও বজায় রাখছে গেরুয়া শিবির।