বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ৭০০টি CAA ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। প্রতিটি ক্যাম্পে সাধারণ মানুষকে CAA সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হবে, পাশাপাশি কারা এই আইনের আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন, সেই বিষয়েও বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ক্যাম্পগুলিতে আবেদনপত্র পূরণে সহায়তা, প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ এবং কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হবে। ক্যাম্পগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্বকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এদিনের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হল নাগরিকত্ব আইন কীভাবে কার্যকর হবে এ রাজ্যে কিংবা তাতে রাজ্য বিজেপির ভূমিকা থাকবে সে নিয়ে আলোচনা।
advertisement
CAA ক্যাম্প কীভাবে পরিচালিত হবে, লোকেশন নির্বাচন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে করা হবে, তা নিয়েই প্রথম ভাগের আলোচনা হয়। নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেতে যেসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেমন—নথিপত্র ঘাটতি, ফর্ম ফিলাপে অসুবিধা, আবেদন প্রক্রিয়ায় জট—সেগুলির সমাধানে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে খবর। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অগ্রগতি এবং সেগুলিকে জনমানসে তুলে ধরার রণকৌশল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে খবর। বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন বিজেপির সংগঠন সচিব বিএল সন্তোষ, ভার্চুয়ালি থাকবেন সুনীল বানশল। এছাড়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, জেলার সভাপতি ও নেতৃত্বরা থাকছেন ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে আয়োজিত একাধিক বৈঠকে। দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় মূল বৈঠক। তবে শুধুমাত্র বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব কিংবা দিল্লির বিজেপি নেতারা নয় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন একাধিক বিধায়ক। নদিয়া, বনগাঁ, রানাঘাটের সমস্ত অঞ্চল যেগুলি মূলত মতুয়া অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত, সেখানকার সব বিধায়কই উপস্থিত আজকের বৈঠকে।