নিকাশি বিভাগ সহ পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে যেন প্রতিযোগিতার পরিবেশ। নিজের বিভাগের মেয়র পরিষদ তো বটেই পুরসভার সচিব থেকে কমিশনার, এমনকি মেয়রও ঘুরে দেখেন বিভিন্ন বিভাগের পুজো। তাই প্রতিমা থেকে নৈবেদ্য, পুজোর আয়োজন থেকে ভোগ নিবেদন- সবেতেই অলিখিত প্রতিযোগিতা।
এবার সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিশ্বকর্মায় সম্প্রীতির বার্তা। ধর্ম ছাপিয়ে প্রযুক্তির দেবতার পুজো উৎসবে পরিণত হয়েছে। আয়োজন করেছে Executive engineer আতাউর আর Assistant Engineer তেজামুল। এই পুজো দেখতে সপার্ষদ ছিলেন মেয়র পারিষদ নিকাশি বিভাগ তারক সিংহ। নাতিকে সঙ্গে করে পুজো আরতি দেখেন। শেষে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নতুন কিছু নয় আমাদের মধ্যে। ছোটবেলায় আমরা মন্দির মসজিদ আলাদা করে ভাবতাম না। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এরাজ্যে আমদানি করা হচ্ছে। ওদের শত চেষ্টাতেও আমাদের এই বন্ধন ভাঙবে না।
advertisement
গত কয়েকদিন প্রতিমা আনা থেকে পুজোর বাজারে ফুরসত মেলেনি আতাউড় তেজামুল শঙ্কর কিম্বা প্রদীপদের। আজো পুজোর আয়োজনের মাঝে কারা এলেন কারা গেলেন সবের খোঁজ রাখছেন ওরা। সবাই পুজোর শান্তিজল পেলো তো! কেউ প্রসাদ না নিয়ে চলে গেলো কিনা তাও তদারকি করছেন তেজামুল। তিনি বলেন, এটা আমাদের ডিপার্টমেন্টের পুজো। সারাবছর যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন ও সেভাবেই হাতে হাত মিলিয়ে করি। ধর্ম নিয়ম তো আছেই। আমাদের কাছে তার থেকেও বড় উৎসব। সেই আনন্দটাই সবার সাথে ভাগ করে নি।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে উজ্জীবিত বিজেপি, আজ থেকে শুরু দুদিনের সাংগঠনিক বৈঠক
শুধু নিকাশি বিভাগ নয়, পুরসভার এঞ্জিনিয়িরিং, আলো, প্রিন্টিং, সিভিল সব বিভাগেই বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন। বিকালে সেই পুজোর আয়োজন ঘুরে ঘুরে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার ছাদে ঘুড়ি ওড়ানোর আয়োজনও করা হয় ।