বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ''হিমশৈলের চূড়ামাত্র, গোটা হিমশৈল জলের নিচে আছে। - গতকালের সিবিআই এর পেশ করা রিপোর্টের নির্যাস দেখে এমনই মনে হচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। '' তিনি আরও বলেন, '' এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোনও পেশায় নেই। ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙ্গুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এমন শিক্ষকদের যোগ্যতা কী ? আমি জানিনা এর শেষ কোথায়।''
advertisement
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, '' আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিৎ। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে ভবিস্যতে অংশ গ্রহন করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিৎ!'' বিচারপতির হুঁশিয়ারি, ''দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে'', তিনি যোগ করেন, '' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে সামিল হচ্ছি। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব। ১৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।''
প্রসঙ্গত, বুধবার সিবিআইয়ের তরফে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র দু’একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং সাদা খাতা জমা দিয়েই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতা এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পর্যায়ে চাকরিতে নিয়োগের মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছেন অন্তত আট হাজার জন। এই আট হাজারের মধ্যে কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ARNAB HAZRA