ক্ষমা চাইতে বলে এর আগে মুকুলকে নোটিস পাঠান অভিষেক । এবার সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করলেন। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে প্রথমে নিজের নাম, পরিচয় ও তাঁর বিরুদ্ধে করা মুকুল রায়ের বক্তব্য জানান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক।
অভিষেক--
--উনি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন
---বর্তমানে বিজেপির বড়সড় নেতা
advertisement
বিচারক--
---আপনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি ?
অভিষেক---
--সবটাই মিথ্যা অভিযোগ
বিচারক --
--সমস্যা কোথায় ?
অভিষেক---
--আমি একজন সাংসদ, জনপ্রতিনিধি
---আমার সম্পর্কে এই ধরণের মন্তব্য আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে
--বিভিন্ন সংবাদপত্রেও এই নিযে একাধিক খবর বেরিয়েছে যাতে জনমানসে বিরূপ প্রভাব পড়ছে আমার সম্পর্কে
---আমার বন্ধুবান্ধব ,পরিবার পরিজন , দলের সমর্থক ও অনুগামীরা প্রশ্ন করছে
----এটা আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে
এরপর কাঠগড়ায় ওঠেন সৌম্য বকসি। অভিষেকের মামলার সমর্থনে সাক্ষ্য দেন তিনি। ১০ নভেম্বর রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে দেওয়া মুকুল রায়ের ভাষণের সম্প্রচারিত অংশ ল্যাপটপে দেখেন ও শোনেন বিচারক । জমা দেওয়া হয় সংবাদপত্রের ক্লিপিংসও। মানহানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এরপরই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন বিচারক। ২০ ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই মুকুল রায়কে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক ৷ মুকুলের বিরুদ্ধে ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় মামলা হয়েছে । দোষী প্রমাণ হলে দু’বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে তাঁর। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার আদালতের মামলাতেও নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে এই বিজেপি নেতাকে।