পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকেই শুধুমাত্র ৩৫০০ জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র কী ভাবে দেওয়া হল? আদালতে এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশের কাছে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাঠানখালি পঞ্চায়েতের জন্মের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি পোর্টালের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল গৌতম সর্দারের হাতে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় আপডেট দিয়ে দিল রাজ্য…! কোটি কোটি মানুষের জন্য জরুরি খবর
advertisement
তদন্তে উঠে এসেছে, সরকারি পোর্টাল লগ-ইন থেকে শংসাপত্র ইস্যু করার ক্ষেত্রে যে ওটিপি জেনারেট করতে হয়, সব ওটিপি আসত গৌতমের মোবাইল নম্বরে। আর এখানেই পুরো অন্ধকারে পঞ্চায়েত প্রধান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে এত সংখ্যায় তার কাছে ওটিপি আসত না।
পুলিশের দাবি, সরকারি পোর্টালের নিয়ন্ত্রণ পুরো নিজের হাতে রাখার কারণে নিজের ইচ্ছে মতো ওটিপি জেনারেট করেছেন, আর একের পর এক ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র তৈরি করে গেছে
শুধুমাত্র ওই এলাকার নাগরিকের নয়, পোর্টাল থেকে অন্য এলাকার নাগরিকের জন্যও জন্মের শংসাপত্র ইস্যুর অপশন রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, সরকারি পোর্টালে দুটো অপশন থাকে। একটি নিজের পঞ্চায়েত এলাকা আর অন্যটি ভিন এলাকা। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে গৌতম। ভিন এলাকার অপশনকে কাজে লাগিয়ে কলকাতা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলা থেকে অনলাইনে আবেদন করিয়ে জন্মের শংসাপত্র ইস্যু করেছে একের পর এক। এক্ষেত্রে এজেন্ট সাব এজেন্ট কাজে লাগানো হয়েছে।