চুক্তি ভিত্তিক কর্মী গৌতম সর্দারের মাথায় কারা? এবার সেই খোঁজে কলকাতা পুলিশ। সম্প্রতি আলিপুর আদালতও গৌতম সর্দারের উপরে কে আছেন, তাদের খুঁজে বার করে তদন্তের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছিল তদন্তকারী অফিসারকে।
advertisement
গৌতম সর্দারেই এসে থেমে যাবে, না কি মাথাও আসবে? মন্তব্য করেছিলেন বিচারক। এবার মাথা খুঁজতে তৎপরতা তদন্তকারী আধিকারিকদের। প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে গৌতম সর্দার চাকরি পেলেন?
পুলিশ সূত্রে দাবি, ২০১৯ সালে পাঠানখালি পঞ্চায়েতের বোর্ড মিটিংয়ে রেজিলিউশন এনে গৌতম সর্দারকে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরির কাজে যুক্ত করা হয়েছিল। প্রথম দিকে গৌতমের কাজ ছিল গোসাবার তিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। পঞ্চায়েতে জন্মের সার্টিফিকেটের আবেদন জমা পড়লে, হাসপাতালে গিয়ে কোন দিন ওই শিশুর জন্ম হয়েছে তা খতিয়ে দেখা।
আরও পড়ুন: ‘এই’ ব্যবসাতেই আছে ‘কুবেরের ধন’…! ১৬ লক্ষ কোটি টাকার বাজার, চমকে দেবে ‘নাম’!
ফিল্ড ওয়ার্ক করতে করতেই সেই ‘গৌতম’ একদিন বসে পড়েন সার্টিফিকেট ইস্যু করার কম্পিউটারে। পুলিশের প্রশ্ন হঠাৎ গৌতমকেই কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল? কেন গৌতমকে এই বিভাগে কাজ করানোর জন্য রেজিলিউশন নেওয়া হল?
আবাস যোজনা প্রকল্পে ফিল্ডে ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন এই গৌতম সর্দার। আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধাভোগী পরিবারগুলির বাড়ি তৈরির কাজে ভেরিফিকেশন করতেন গৌতম। সেই কাজ থেকে সরিয়ে এনে তাকে আনা হয় জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগে। এখানেই তদন্তকারীরা খুঁজছেন কার নির্দেশ বা মদতে গৌতমকে আনা হয়েছিল এই শংসাপত্র দেওয়ার কাজে?
প্রভাবশালীর কথাতেই কি গৌতমের নিয়োগ? তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। ২০১৪ সালে এই পঞ্চায়েতে গৌতম সর্দার কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
পরিকল্পনা করেই কি রেজিলিউশন? সূত্রের খবর এই সব প্রশ্ন তদন্তকারীদের মনেও!
যদিও গৌতম জেরায় দাবি করেছেন, কম্পিউটার জানতেন। ২০১০-১২ সালে এক বেসরকারি ব্যাঙ্কে কাজ করার সুবাদে কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি, এক্সেল এই ধরনের কাজে তিনি দক্ষ ছিলেন। তাই তাকে এই কাজ দেওয়া হয়েছিল।