কেয়া শর্মা চৌধুরীর স্বামী কাজ করতেন এয়ার ইন্ডিয়ায়৷ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত৷ তাঁর ২৮ বছরের এক ছেলেও রয়েছে৷ ছেলে সৌভিক শর্মা চৌধুরী দাবি, ‘‘অভিযুক্তদের শাস্তি হোক৷ এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে..অনেকবার বলেও লাভ হয়নি৷’’ মৃতার ননদ শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পাশে আত্মীয়রা জমি প্রোমোটারকে দেয়৷ আগেও এই ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম আমরা৷ ওরা শোনেনি৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: এক মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ! মাঝ আকাশে অনর্গল বমি, হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মৃত্যু…
মৃতার স্বামী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ফোনে কথা বলছিল। সেই সময় ইট ভেঙে পড়েছে। আমি আইনি পদক্ষেপ করব। আর যেন কারও এ রকম ক্ষতি না হয়ে যায়।’’ মৃতার স্বামীর দাবি, বেআইনি ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল। তাঁর প্রশ্ন, ৮-১০ ফুটের রাস্তার পাশে কী ভাবে চার তলা বাড়ি তৈরি হয়? তাঁর কথায়, ‘‘যে ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, তাতে আমার বাড়িতেও ধস নেমেছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সওয়া ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ছাদের পাঁচিলের অংশ ভেঙে পড়েছে। নির্মীয়মাণ বাড়িটিতে ১৮ জন কাজ করছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতার পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে সেই মতো তদন্ত এগোবে।
বিরাটির এই ঘটনায় ৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ৷ তার মধ্যে রয়েছেন, তিন প্রোমোটার সহ কন্ট্র্যাক্টার, দু’জন লেবার ইনচার্জ। ধৃতদের নাম, সাজিব সেন ওরফে সাজু ( প্রোমোটার ).
গৌতম দে (প্রোমোটার), সৌভিক মজুমদার (প্রোমোটার), এঁরা তিনজন হল প্রোমোটার। অজয় পাতিল হলেন কন্ট্র্যাকটার৷ বাকি দু’জন লেবার ইনচার্জ৷