পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল সন্ত্রাস। কখনও ভাঙড়, কখনও চোপড়া, জ্বলে উঠছে একের পর এক এলাকা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আইএসএফ (ISF) ও বাম (CPM) নেতা সমর্থকেরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার পদত্যাগের দাবি জানায় তারা।
advertisement
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে প্রথম দিন অশান্তি চরমে পৌঁছেছে রাজ্যে। পর পর ঘটনায় ঝরেছে রক্ত, মৃত্যুও হয়েছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে ফের দিনভর গুলি-বোমা চলল ভাঙড়ে। আইএসএফের দাবি, তৃণমূলের গুলিতে তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
চোপড়ায় মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বামকর্মীর। এরপর অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচনে কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভে বাম-আইএসএফ। রাজ্যের পরিস্থিতি দেখেও নির্বাচন কমিশন দেখেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে। পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে অভিযোগ বাম-আইএসএফের। বিমান বসু বলেন, “চোখে ঠুলি কানে তুলো গুঁজে বসে আছে কমিশন?”
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘রস’ কোনটি? নাম শুনলে আঁতকে উঠবেন! নিজের কানকে বিশ্বাস হবে না
প্রসঙ্গত, এদিন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে দেখা করতে ভিতরে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, নরেন চট্টোপাধ্যায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বাইরে তখন বামকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এরইমধ্যেই কমিশনের দরজায় গিয়ে পৌঁছন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি।