সকালে পুলিশ ও স্থানীয়দের নজর এড়িয়ে চুরির ঘটনা যথেষ্ট চিন্তায় ফেলে দেয় পুলিশকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা, শনাক্ত করে সিসি ক্যামেরা। তারপর ওই রোডের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করে শেক্সপিয়ার সরণী থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট বোঝা যায় এই ধরনের চুরি আগেও ঘটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Update: সমুদ্রের উথালপাথাল, হুহু করে বইছে হাওয়া, তুমুল বৃষ্টি জারি, কলকাতার ওয়েদার আপডেট
চুরির ধরণ পুরোপুরি একইভাবে মিলে যাওয়ায় তদন্তকারী অফিসারের বুঝতে অসুবিধা হয়নি কার দ্বারা এই কাজ সম্ভব হচ্ছে। এক বছরের কিছু সময় আগে একইভাবে একই জায়গা থেকে চুরি হয়, এমনকি সেইবার পুলিশের নজর এড়িয়ে মালদহ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় অভিযুক্ত। পুরানো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শেক্সপিয়ার সরণী থানার তদন্তকারী অফিসার বিভিন্ন জেলার নানান সূত্র মারফত খোঁজ লাগাতে শুরু করে, এমনকি জেলার বিভিন্ন চেকপোস্টেও এই বাইক চুরির খবর দেওয়া হয় এবং বাইকের নম্বর পৌঁছে যায় চেকপোস্টগুলোতে।
নদিয়ার নাকাশিপাড়া ও বহরমপুরের শিবপুর এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানো হয় পুরানো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে। চুরি যাওয়া বাইকের সন্ধান পেতেই শেক্সপিয়ার সরণী থানার তদন্তকারী অফিসার পৌঁছে যায় প্রায় তিনশো যায় বহরমপুরের শিবপুরের টোল প্লাজায়। সেখানে মেলে বিশালের চুরি যাওয়া বাইকের সন্ধান, অভিযোগ দায়ের করার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত, উদ্ধার করা হয় বাইকটিও। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, এই ধরনের আরও বেশ কিছু চুরির ঘটনায় সে জড়িত কিনা তা জানতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
Susovan Bhattacharjee