চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে অজয় নগর মোড়ে। সেখানে যৌথ ভাবে নাকা চেকিং চলছিল পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক ও সার্ভে পার্কের থানার। সেসময় অজয় নগর মোড়ে সন্তোষপুরের দিক থেকে আসছিল একটি বাইক। সেটি পাটুলির দিকে টার্ন নিচ্ছিল। আহত সার্জেন্ট সুমন কল্যান বলেন, "নাকা চেকিং চলার সময় পুলিশ দেখে একটি বাইক নিয়ে দুজন আসছে। বাইক যে চালাচ্ছিল তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। তখন সার্ভে পার্ক থানার সার্জেন্ট সুকান্ত সিকদার, এএসআই এস কে পাত্র বাইক আটকান।''
advertisement
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াতে ইন্ডিয়ার হয়ে খেলে বেস্ট প্লেয়ার বর্ধমানের ছেলে
আরও পড়ুন: কোটি কোটির 'অপা'র মালিক, কেয়ারটেকারের বাকি বেতন, দিশেহারা ঝর্ণা
পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড সার্জেন্ট সুমন কল্যান ঢাক এরপর কেস করেন ওই বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে। বাইক আরোহী চলে যায়। তারপরেই লোক ডেকে আনেন ওই বাইক আরোহী। সেখানে আরও লোক এসে জড়ো হয়। তাঁদের দাবি, এঁরা স্থানীয়, এদের বিরুদ্ধে কেস করা যাবে না। তখনই বচসা শুরু হয়, গালিগালাজ করে, ধাক্কা দিয়ে মারধর করে সার্জেন্ট সুমন কল্যানকে।
এরপর বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় সুমনকে। সুমন সার্ভে পার্কে অভিযোগ করেন। আহত সার্জেন্ট চারজনকে চিহ্নিত করেন। গ্রেফতার হন অভিযুক্তরা। ধৃতদের নাম বলাই দাস, পানু কুন্ডু, আদিত্য সাহা, পলাশ হালদার। মারধর (৩৩২), পুলিশকে কর্তব্যরত অবস্থায় কাজে বাধা দেওয়া (৩৫৩), একসঙ্গে অনেকে মিলে সংগঠিত অপরাধ (৩৪), আইপিসিতে একাধিক মামলা রুজু হয়। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।
রাতের শহরে বার বার মত্ত যুবক, কখনও হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। হেলমেট পরতে বলা হয় বাইক আরোহীদের সুরক্ষার জন্য। তা সত্ত্বেও পুলিশকে মারধর ও বারবার হেনস্থার শিকার হতে হয় বাইক আরোহীদের হাতে। কবে আসবে সচেতনতা? কবে বন্ধ হবে রাতের শহরে দাদাগিরি বাইক আরোহীদের? প্রশ্ন ওয়াকিবহল মহলের।