কী অভিযোগ করেছেন কুণাল? তিনি তাঁর অভিযোগে বলেন, “আমার বন্দী দশায় আমার বাড়ির লোকেরা এবং আমার ঘনিষ্ঠরা যখন বিভিন্ন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন তখন এক আইনজীবী বিকাশ বাবুর হয়ে বলেছিলেন যে বিকাশ বাবুর সঙ্গে দেখা করতে কারণ তিনি কিছু পরামর্শ দিতে চান। সেই মতো তিনি তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। এবং তারপর তাঁর জুনিয়রের কাছে যথাযথ টাকা দিয়ে তারপরই বের হতে হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। এটা যেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মনে রাখেন। এইটুকু মনে আছে টাকার অঙ্কটা ছিল একান্ন হাজার।”
advertisement
এর পরেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এত বড় একটা মিথ্যা কথা কুণাল বাবুই বলতে পারেন। ওর বাড়ির লোকেরা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। ওঁর স্ত্রী কিংবা মা সঙ্গে এসেছিলেন। তাঁরা দাঁড়িয়ে বলুন তো এক পয়সা দিতে হয়েছিল কিনা। বা এক পয়সা আমি নিয়েছি কিনা। একটা মানুষ এত নীচে নামতে পারে আমার ধারণা ছিল না। আমি একটাই দাবি করব। কুণালবাবু আমার সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তিনি একটা এফআইআর করুন আমার বিরুদ্ধে। যে অভিযোগ করছেন সেটা মারাত্মক অভিযোগ। পুলিশ দফতরকে বলব মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে কুণাল বাবুকেই তদন্তের দায়িত্ব দিন। কুণাল বাবু ৭ দিন পুলিশের সাহায্য নিয়ে তদন্ত করুন। সাজাও আমি বলে দিচ্ছি। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয় আমি এসপ্ল্যানেডে দাঁড়িয়ে থাকব একশোটা চাবুক মারবেন। আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন কুণাল বাবুকে নবান্নের মাথায় নিয়ে গিয়ে সমস্ত চাকুরি প্রার্থীদের একজন করে আসুন একটা করে থাপ্পর মারবে। রাজি আছেন কুণাল বাবু? আমি রাজি আছি।”.
এরপরেই জুনিয়রের কথা প্রসঙ্গে বিকাশ বাবু বলেন, “জানি না কোন জুনিয়ারকে তিনি টাকা দিয়েছেন? কে সেই জুনিয়ার? তার নাম করুন তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করব। কোনও জুনিয়র যদি তাঁর ফি নিয়ে থাকে তাঁর ব্যাপার। একজন আইনজীবী কাজ করবেন তাঁর পেশাগত ফি নেওয়ার তাঁর অধিকার আছে। কোন জুনিয়র যদি তাঁর ফি নিয়ে থাকেন তাহলে কুণালবাবুর আক্ষেপ করার তো কিছু নেই। কিন্তু কুণাল বাবু জেনে রাখতে পারেন আমি একটা পয়সাও নিইনি। তবে কুণাল বাবুকে প্রকাশ্যে বলতে হবে কে সেই জুনিয়ার। আমার সামনে এসে বলুন একজন আইনজীবী তার পেশাগত মূল্যায়ন পেশাগত তার যে সাম্মানিক নেবে না কেন। নেওয়া উচিত। আমি নিইনি সেটা অন্য কথা।”
