বিকাশভবন অভিযানের ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়, তলব করা হয় বিধাননগর ( উত্তর) থানায়। ইন্দ্রজিতের সাফ কথা, ” আন্দোলন ভাঙার জন্য একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হলেও আমাদের আন্দোলন দমানো যাবে না! যত ধারায় মামলা দেওয়া হোক না কেন, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে আগামিদিনেও থাকব।”
advertisement
বিকাশভবন চাকরিহারাদের বিক্ষোভের জেরে পাঁচ চাকরিহারা শিক্ষককে তলব করেছিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। এবার হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দিতে আসেন ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সুদীপ কোনার। ” আমি ১৫ তারিখ বিকাশভবনে ছিলাম না। তদন্তের ক্ষেত্রে আগামীতেও পুলিশকে সহযোগিতা করব।” হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী সুদীপ কোনার।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিকাশভবন অভিযান ছিল। অভিযোগ ওঠে, চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকমর্কীরা পুলিশি বাধা টপকে ব্যারিকেড ভেঙে, কার্যত বিকাশভবনের সামনের গেটে ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিকাশভবনের ভিতরেই অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। ভিতরে ছিলেন বিকাশভবনের কর্মীরা। রাতে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে চাকরিহারাদের তুলে দেয়। একাধিক চাকরিহারা আক্রান্ত হন। অভিযোগ, লাঠির আঘাতে চাকরিহারাদের হাতও ভেঙে যায়। সেই ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়, পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করেছে।
