আরও পড়ুন: সব টাকা পার্থদা'র, কর্মীরা এসে দিয়ে যেত! জেরায় স্বীকার অর্পিতার: সূত্র
তাঁর মতে, ‘‘এখানে কোথাও কিন্তু বলেনি, যে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হল। তিনি যে দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, সেগুলো অন্যলোকের মধ্যে বণ্টন করা হল, কারণ তিনি হেফাজতে আছেন। এই সিদ্ধান্ত একেবারেই লোককে বোকা বানানোর চেষ্টা, এটা কোনও কার্যকরী সিদ্ধান্তই নয়, অর্থহীন, অকার্যকরী সিদ্ধান্ত।’’
advertisement
আরও পড়ুন - তিন মন্ত্রী পদ থেকেই অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়!
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রসঙ্গেও বিকাশের স্পষ্ট কথা, ‘‘দেখা গেল যে কত পরিমাণ বেআইনি সম্পদ, বিদেশি টাকা, সোনা, ফ্ল্যাট ইত্যাদি তাঁরা সংগ্রহ করেছেন, এই যা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা হচ্ছে তৃণমূলের সম্পদ। পার্থবাবু নিজের জন্য করেননি, করেছেন দলের জন্য। চাকরি প্রক্রিয়ায় মামলা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, এমন ভিডিও আছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে ছেলেদেরকে বলছেন, আমি কমিটি করতে বলেছি, পার্থ কমিটি করে দেবে, তোমাদের নিয়োগ হবে। এবং সেই কমিটি করেই সমস্ত বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। এটা প্রাথমিক ভাবে বিতর্কের উর্ধ্বে। তার ভিত্তিতেই তো ইডি তদন্ত করছে। এটা থেকে তো আরও তথ্য প্রকাশিত হবে, যেমন চিটফান্ডের টাকা, নারদার টাকা, এগুলো সব বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। আমার নিজের মনে হয়, এর সঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত। যদি তদন্ত বাধাহীন পথে এগোয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকেও হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’