দুর্গা পুজোর মতোই এখানে পুজো হয় চারদিন ধরে। তাছাড়াও বড় বড় প্রতিমা, আলোকসজ্জা এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। দুর্গা পুজোতে যে উৎসব রাজ্যে শুরু হয় তার রেশ চলে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত। সেই কারণে উৎসবের শেষ ছোঁয়া পেতে সবাই হাজির হয় চন্দননগরে।
আরও পড়ুন: শেষ ধাপে উদ্ধারকাজ, সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করে আনতে আর কতক্ষণ? জানুন সর্বশেষ আপডেট
advertisement
কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতাতেও বড় বড় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো উত্তর কলকাতার শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের পুজোর ছোঁয়া এখানে অনেকটাই পাওয়া যায়। এ বছর ৪৮ বছরে পা দিল শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো কলকাতার শুধুমাত্র অন্যতম সেরা পুজোই নয়, এখানকার প্রতিমাও কলকাতার সবচাইতে বড় বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের।
অমিত রায় দীর্ঘদিন ধরে এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি জানান, “আমাদের প্রতিমা সম্ভবত কলকাতার সবচাইতে বড় প্রতিমা। মুকুট নিয়ে এই প্রতিমার উচ্চতা হয়ে যায় প্রায় ২৬ ফুট। কাটোয়া থেকে শিল্পীরা এসে সাজসজ্জা কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র প্রতিমার উচ্চতাই নয়। এখানে পুজো হয় নিষ্ঠা সহকারে। সেই কারণে বহু মানুষ এখানে এসে পুজো দিয়ে যান৷ বাগবাজারের দুর্গা প্রতিমা যেমন বিখ্যাত তাই সেই প্রতিমার মুখের আদলে এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা তৈরি করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এখানে প্রায় হাজার দশেক মানুষকে ভোগ বিতরণ করা হয়। মণ্ডপের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। আর যেহেতু এই মণ্ডপের চারপাশে বড় খোলামেলা জায়গা আছে এবং সেখানে মেলা হয় তাই এর টানেও বহু মানুষ এখানে ছুটে আসে। এছাড়াও এই পুজোর অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমরা বহু নামী দামি শিল্পীকে এখানে নিয়ে আসি। তা দেখতেও প্রচুর মানুষ এখানে এসে উপস্থিত হন।”
চন্দননগরের মতো চারদিন ধরে পুজো না হলেও দু’দিন এখানে প্রতিমা রাখা হয়। তিন দিনের মাথায় হয় বিসর্জন। এখানেও উপস্থিত হন এলাকার বহু মানুষ। সিঁদুর খেলার পর ধুমধাম করে বিদায় জানানো হয় দেবীকে। শিয়ালদহ থেকে এখানে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন রাইমা সাহা। তিনি বলেন, “এখানকার প্রতিমা সত্যিই দেখার মতো। একদম অবিকল বাগবাজারের দুর্গা প্রতিমার মতো। দেখলে মনে হয় যেন বাগবাজারের মা দুর্গা পুজোর শেষে কৈলাশে গিয়ে আবার জগদ্ধাত্রী পুজোতে শ্যাম পার্কে ফিরে এসেছেন।”