#কলকাতা: সল্টলেকে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার লক্ষ্যভেদে সব্যসাচী। জরিমানা মামলা পৌঁছল ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার শুনানি।
সল্টলেকের মেয়র পদ ছেড়েও তিনি চর্চায়। ক্ষমতায় না থেকেও বিধাননগর পুরনিগম যে তাঁর ফার্স্ট প্রায়োরিটি, হাইকোর্টে মামলা ঠুকে আগেই প্রমাণ দিয়েছেন। মামলা খারিজ করেনি সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে জরুরি শুনানির প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের সময় নষ্টের জন্য ১১০০০ টাকা জরিমানা নির্দেশ দেয় আদালত। জরিমানা নির্দেশ বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছেন সব্যসাচী দত্ত। সোমবার সেই মামলার শুনানি ।
advertisement
সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণ আটকানো এখন ধনুকভাঙা পণ সব্যসাচীর। আদালতে অভিযোগ যে নিখাদ সত্য, তার প্রমাণ দিতে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত । পুরনিগম হওয়ার পর বিধান নগরের প্রথম মেয়র তিনি। সল্টলেক, রাজারহাট তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। মেয়র থাকাকালীন চারটি কাজ বেআইনিভাবে হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল সব্যসাচী বাবুর। ওই চারটি কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নোটিশ দেন তিনি। এরপর বিধাননগর পুরনিগমে রাজনৈতিক দোলাচল শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন শুরু হয়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীনই মেয়র পদ ছেড়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। নতুন মেয়র হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে প্রাক্তন মেয়র অভিযোগ আনেন, তিনি মেয়র থাকাকালীন বেআইনি কাজ গুলি বন্ধ করার নোটিশ জারি করে বিধাননগর পুরনিগম। নতুন মেয়র আসতেই সেই বেআইনি কাজ গুলি ফের শুরু করছে পুরনিগম। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বেঞ্চে জরুরী শুনানি চেয়ে আবেদন রাখেন সব্যসাচী বাবুর আইনজীবী। ২২জানুয়ারি, বুধবার দুপুর দু’টোয় বিচারপতি মান্থা'র বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি জানান, বিধান নগরের প্রাক্তন মেয়র-এর আবেদনটির জরুরিভিত্তিতে শুনানি করার মতো কিছু নেই। অহেতুক আদালতের সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর পাঁচটা সাধারণ মামলার সঙ্গেই এই আবেদনের শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টের সময় নষ্ট করার জন্য ১১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
বিধান নগর পুরোনিগমে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মেয়র পদ চলে গেলেও এখনও সল্টলেকের পুরপিতা সব্যসাচী দত্ত। আবার বিধায়কও বটে। দলবদলের পর তাঁকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা গেরুয়া শিবিরের। দক্ষিণ কলকাতার মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে তাঁকে সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব সঁপেছে বিজেপি। এই অবস্থায় সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশ পক্ষে আসা মানে অ্যাডভান্টেজ সব্যসাচীর।