অভিষেককে এদিন বলতে শোনা যায়, "নির্বাচন শেষ হবে আর লকডাউন ঘোষণা করবে কেন্দ্রের সরকার।" আর এই যুক্তিকে সামনে রেখেই অভিেকের প্রতিশ্রুতি. " লকডাউন হলে বিনেপয়সায় খাদ্য পৌঁছে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি না থাকলে বিনে পয়সায় স্বাস্থ্য, খাদ্য কিছু পাবেন না সাধারণ মানুষ।" বারংবার তাঁর কথায় এল দুয়ারে রেশন প্রকল্পটির কথা। অর্থাৎ তাঁর বরাভয়, এমন কিছু যদি হয়ও তাহলেও বাড়ি বাড়ি খাদ্য ও স্বাস্থ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে তৃণমূল পরিচালিত সরকার। আর এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই কংগ্রেসের গড়ে দাড়িয়ে ভোট ভিক্ষে অভিষেকের।
advertisement
অভিষেক সভাস্থলে দাঁড়িয়ে এদিন বলছিলেন, "কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্তিশালী করা। দশ বছর ধরে মানুষের পাশে থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের মাথায় কখনও ঋণ চাপাননি। " রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অভিষেক আসলে ভোট চাইছেন রিপোর্ট কার্ড ভিত্তি করেই। শুধু অভিষেক কেন, মানুষের মন পেতে তৃণমূল সুপ্রিমোরও তাস উন্নয়নের জোয়ার। অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে মহিলাকেন্দ্রিক প্রকল্পগুলিতে।
প্রসঙ্গ সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এই রাজ্যে এখনও লকডাউন নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই তার। এর মধ্যেই অবশ্য দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তীশগড় ও উত্তপ্রদেশের কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। তবে মমতা চাইছেন দ্রুত ভোটপর্ব মিটে যাক, যাতে রাজ্যের সমস্ত আধিকারিকরা আরও একবার কোমর বেঁধে যুদ্ধে নামতে পারে। আর এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাবে লকডাউনের কথা জিইয়ে রাখলেন তাঁর সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।