শহরের বুকে দুঃসাহসিক ডাকাতি। ২৬এ আনন্দ ব্যানার্জি লেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভবানীপুরের এই আবাসনে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। পেশায় ক্যামেরাম্যান ও ব্যবসায়ী মোহন আগরওয়ালের ফ্ল্যাটে ঢুকে লুঠপাট চালায় তারা। আবাসনের তিনতলায় থাকেন মোহন আগরওয়াল ও তাঁর পরিবার।
ভোর ৩.২২
চারতলায় মোহন আগরওয়ালের ফ্ল্যাটের ডোর বেল বাজায় দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ী দরজা খুলতেই মুখঢাকা অবস্থায় চারজন ভিতরে ঢুকে পড়ে। প্রথমে একটি ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। এরপর হঠাৎই মোহন আগরওয়াল ও তাঁর বোনের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে লুঠপাট চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।
advertisement
অন্য ঘরে ঘুমোছিলেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী ললিতা আগরওয়াল। সন্দেহ হওয়ায় দরজা পুরোপুরি না খুলেই, পুলিশে খবর দেন তিনি। যদিও ভারতী দেবীর কিছু গয়না ও আলমারি থেকে দুটি ক্যামেরা ছাড়া তেমন কিছুই নেয়নি দুষ্কৃতীরা। রীতিমতো ছক কষেই যে দুষ্কৃতীরা আসে, তারও প্রমাণ মিলেছে। আবাসনের বাকিরা যাতে টের পেলেও বেরিয়ে আসতে না পারেন, সেজন্য দুষ্কৃতীরা বাকি ফ্ল্যাটগুলিতে বাইরে থেকে লক আটকে দেয়।
ঘটনার তদন্তে ভবানীপুর থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তবে দুষ্কৃতীদের টার্গেটে কি সত্যিই আগরওয়াল পরিবার ছিল নাকি অন্য কেউ? কয়েকটি বিষয় ভাবাচ্ছে পুলিশকেও।
টার্গেটে অন্য কেউ ?
- টার্গেট নিশ্চিত হলে দুষ্কৃতীরা কেন ঠিকানা জানতে চায় ?
- আটঘাট বেঁধে এলেও, লুঠের তালিকায় তেমন মূল্যবান জিনিস ছিল না কেন ?
বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ভবানীপুেরর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় ফের উঠল শহরের নিরাপত্তা ঘিরে।