ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে গুজরাটি পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে একাধিক সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। মূলত এই ওয়ার্ডটির বৈচিত্রের কারণেই ভবানীপুরকে মিনি ইন্ডিয়া বলা হয়। তৃণমূল মনে করে এখান থেকে ভালো ভোট পাওয়া মানে একরকম নিশ্চিন্ত। তাছাড়া আসন্ন পুরসভা ভোটের জল মাপতেও মন বুঝতে হবে ৭০ নম্বরের।
অবশ্য উপনির্বাচনে (Bhabanipur by poll) যেমন হয়, সকাল থেকেই বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে ভোটারদের উপস্থিতি খুব বেশই নয়। ভোট দিতে আসা ভোটাররা বলছেন উপনির্বাচনে উৎসাহ খানিকটা কমই। হাইরাইজ বিল্ডিং থেকে নেমে ভোট দিতে আসুন বাসিন্দার সকলেই। যদিও বরাবরই দেরি করে হলেও বুথমুখী হন অনেকেই, তা অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররাই।
advertisement
আরও পড়ুন-ঘড়ির কাঁটা ধরেই ভবানীপুরের শুরু প্রেস্টিজ ফাইট, গোটা দেশ দেখছে মমতা-প্রিয়াঙ্কার লড়াই
বিধায়ক দেবাশিষ কুমারকে তৃণমূল ৭০ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল উপনির্বাচনের মুখে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ২০৯২ ভোটে। তৃণমূল মনে করছে এই ওয়ার্ডে এগিয়ে যাওয়া মানে নিরঙ্কুশ জয়। আর বিজেপি মনে করছে এই ওয়ার্ডে ধরে রাখতে পারলে ভবানীপুরে অঘটনও ঘটে যেতে পারে। ৭০ এর পাশাপাশি দুই দলের নজর রয়েছে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডেও।
উল্লেখ্য ভবানীপুরে ওয়ার়্ সব মিলিয়ে ৮ টি। এর মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ৭১ ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৯৬৫ ভোটে। ৭২ ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৩৩৯ ভোটে। ৭৭ ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়েছিল রেকর্ড ২১৩৭৯ ভোটে। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল ৫৩৭ ভোটে। আবার ৭৩ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৮৩১ নম্বর ভোটে।