বাংলার যাত্রায় এখন কোন অর্থেই বিবেক নেই। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বীকার করছেন যাত্রা কর্মীরাও। বিবেক নেই। বদলে আছেন নায়ক-গায়ক বা নায়িকা-গায়িকা। আছে নাচ, গান, লাস্য। তবে সখীর দল গিয়েছে। এখন নারী চরিত্রে নারীরাই। এবং যাত্রাপাড়ার দাবি, বহাল তবিয়তে আছে বাংলার যাত্রা জগত।
তবে একথা স্বীকারে লজ্জা নেই যাত্রাকর্মীদের বেতন এখনও নেহাতই কম। তবে মালিকের মুনাফা হয়। কোন কোন মালিক স্রেফ সখেও আছেন। তবে সখের মালিকের সংখ্যা দিনে দিনে কমছে বটে। হাতে গোনা গুটিকয়।
advertisement
ঐতিহাসিক বা পুরান নির্ভর পালার সংখ্যাও হাতে গোনা। যা হয় সবই নাকি সামাজিক পালা। পালাকারের কলমের ধার কমেছে, কমেছে নাটকীয়তা। টিভি সিরিয়ালের নকলনবিশী করতে গিয়ে, সামাজিক আবেদনও কমেছে। অনেকটাই। বদলে এসেছে চটকদারি। সস্তায় বাজিমাতের কেরামতি।
তবে, শহরতলী মফস্বল ছেড়ে যাত্রা পারি জমাচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামে। যাতায়াতের সুবিধার কারণে। আজো শোনা যায় কনসার্ট। কিন্তু পরের সাতদিন যাত্রার ডায়ালগ আর শোনা যায় না। ইতিহাস পুরানের আড়ালে আজকের সময়ের কথাবলাও হয় না।
তবু প্রতি রথে পালা বায়না হয়। শো হয়। একদল যাত্রাপ্রেমী মানুষ আশায় থাকেন। এবার হয়তো দাগ কাটবেন কেউ। কেউ দাগ রাখেন না। লোকশিক্ষার কাজটাও অধরা থেকে যায়।