যাদবপুরের শিক্ষক সমিতি জুটা-র তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানাচ্ছি, যে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের এ২-ব্লকে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রকে ওই ব্লকের নীচে উলঙ্গ এবং অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা সকলে শোকস্তব্ধ।” জুটার দাবি, এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে প্রাক্তন ছাত্র যারা হোস্টেলে বেআইনি ভাবে থাকছে, তাদের হোস্টেল থেকে বের করতে হবে।
advertisement
এ দিকে, যাদবপুরের কয়েকজন পড়ুয়াকে ইতিমধ্যেই থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তাঁদের দাবি, স্বপ্নদীপকে সমকামী বলে হেনস্থা করা হচ্ছিল টানা তিনদিন ধরে। নানা সময়ে তাঁকে উলঙ্গ হয়ে হস্টেলের ব্যালকনিতে ঘুরতে বলা হয়। বিবস্ত্র অবস্থা নাচতেও বাধ্য করা হচ্ছিল। এ ছাড়াও নানা সময়ে তাঁকে নানা ভাবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছিল, তাতেই দিশাহারা হয়ে পড়ে স্বপ্নদীপ। হস্টেলের আবাসিকরা জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরের পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন স্বপ্নদীপ। বারান্দায় প্রস্রাবও করে দেন। অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। আচরণও ছিল উদ্ভ্রান্তের মতো।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর | Jadavpur University News Today
আরও পড়ুনঃ মা, মা…! চোখের নিমেষে ছিটকে পড়ল ৩ বছরের মেয়ে, মায়ের সামনেই ছিন্নভিন্ন শিশু
বুধবার রাতে মাকেও ফোন করে নিজের অসহায়তার কথা বলেন স্বপ্নদীপ। মাকে বলেছিলেন, ‘খুব ভয় করছে’। মাকে খুব তাড়াতাড়ি তাঁর কাছে যেতে বলেছিলেন। পরের দিন বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরার কথাও জানিয়েছিলেন। তারপরেও ঘটে যায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা। তবে মায়ের দাবি, আত্মহত্যার কোনও আভাস সেদিন ছেলের কথায় পাননি। তবে ছেলের কাঁপা গলায় প্রচণ্ড ভয় আর আতঙ্কে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা বলছেন, “কেউ শখ করে ঝাঁপ দেয় না। সেদিন কী ঘটেছিল তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। আমরা চাই, সত্যিটা সামনে আসুক।”
তথ্যঃ সৌরভ তিওয়ারি