TRENDING:

Cactus Organised Blood Donation Camp: 'ভালো আছি-ভালো থেকো...', সঙ্কট কাটাতে সিধুর বাড়িতেই রক্তদান শিবির ক্যাকটাসের!

Last Updated:

গরমের স্বাভাবিক রক্ত সঙ্কট, তার মধ্যে করোনার প্রবল দাপাদাপি, রক্ত সঙ্কট (Blood Crisis) কোথায় গিয়ে ঠেকবে এবার? সেই দুশ্চিন্তা থেকেই এবার এগিয়ে এল বাংলা ব্যান্ড 'ক্যাকটাস'।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: পরিস্থিতি এমনই, গানও যেন সুরের সঙ্গে 'সোশ্যাল ডিসট্যান্স' মেইনটেন করছে। চারিদিকে শুধুই আতঙ্ক, মৃত্যুমিছিল, মন খারাপের রেশ। মাস্কে মুখে ঢেকে পথ হাঁটতেও পথিকের যেন অন্তত ক্লান্তি। কবে কাটবে এই সময়? জানে না কেউ। বাইরে প্রবল গরম, ভাইরাসের দুরন্ত দাপট, টিভি-সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুই মৃত্যুর আপডেট! আবার তারই মাঝে থাবা বসাচ্ছে প্রবল রক্ত সঙ্কট। একে প্রবল গরম, তার মধ্যে আজ থেকেই গোটা দেশ জুড়েই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি কারও কোভিড ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নিতে আর কোনও বাধা থাকছে না। ফলে, গরমের স্বাভাবিক রক্ত সঙ্কট, তার মধ্যে করোনার প্রবল দাপাদাপি, রক্ত সঙ্কট (Blood Crisis) কোথায় গিয়ে ঠেকবে এবার? সেই দুশ্চিন্তা থেকেই এবার এগিয়ে এল বাংলা ব্যান্ড 'ক্যাকটাস'।
মহৎ কর্ম
মহৎ কর্ম
advertisement

ক্যাকটাস-এর লিড ভোকালিস্ট সিধুর বাড়িতেই শনিবার আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরের (Blood Donation Camp)। সেখানে রক্ত দিলেন মোট ১২ জন। করোনা পরিস্থিতিতে বেশি মানুষকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। সিধু বলছেন, 'আসলে ভীষণ নেগেটিভ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। চারিদিকে মানুষের মৃত্যু। তারই মধ্যে এবার শুরু হতে চলেছে রক্তের সঙ্কট। সেই ভাবনা থেকেই আমাদের ছোট্ট প্রয়াস।' এদিন একে-একে সকলে যখন রক্ত দিচ্ছেন, তখন সিধু গান ধরেছেন, 'ভালো আছি, ভালো থেকো/ আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো...'

advertisement

আসলে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিধিতে স্পষ্টই বলে দেওয়া হচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ২৮ দিনের মধ্যে রক্তদান করা চলবে না। আর এই সময়সীমা পেরোতে না পেরোতেই চলে আসছে দ্বিতীয় ডোজের সময়। ফলে রক্তদাতার হাত পা বাঁধা দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে। প্রতি বছর গ্রীষ্মে যে রক্তের সংকট দেখা দেয়, তা থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে এই সময়টাতেই গোটা বাংলা জুড়ে রক্তদান চলে। আর তাতে মুখ্য ভূমিকা নেন এই ১৮-৪৫ বছর বয়সিরাই। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে রক্তদান আয়োজন করা করা সম্ভব হচ্ছে না, তেমনই প্রাণে বাঁচতে তরুণ প্রজন্ম ভ্যাকসিন নিলে রক্তদানের পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে সিধুদের এই কর্মসূচি আকারে ছোট হলেও তারিফযোগ্য তো বটেই।

advertisement

অপরদিকে, কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলিতে যখন হাসপাতালের বেড, অক্সিজেনের নিদারুণ অভাব, মানুষ বড় কষ্টে, নিঃশ্বাস আজ বড় দামী হয়ে উঠছে, বাড়িতে-বাড়িতে কোভিড রোগী, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যখন বাড়ির বাইরে পা রাখাও অসম্ভব হয়ে উঠছে, তখন কীভাবে মিলবে ওষুধ, খাবার? এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রূপম ইসলাম, ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিল্‌স ফোর্স’-এর সদস্যরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জঙ্গলের আড়ালে নিভে যাওয়া শিক্ষার প্রদীপ! মহাশ্বেতা দেবীর স্বপ্নের বিদ্যালয় অবহেলায় পড়ে
আরও দেখুন

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপম লেখেন, 'কোভিড আক্রান্ত বা বাড়ির অন্যান্য সমস্যার কারণে যাঁরা ওষুধপত্র, বাজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না, কমেন্ট বক্সে আমাদের জানান। আপনার এলাকায় আমাদের প্রতিনিধি থাকলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব আমরা। তাঁরা আপনার জন্য জিনিস কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে।' রূপমদের সেই এগিয়ে আসাও তারিফ কুড়িয়েছে বহু মানুষের।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Cactus Organised Blood Donation Camp: 'ভালো আছি-ভালো থেকো...', সঙ্কট কাটাতে সিধুর বাড়িতেই রক্তদান শিবির ক্যাকটাসের!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল