TRENDING:

'বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি!' স্বাধীনতায় বাঙালিদের অবদান মনে করালেন মমতা 

Last Updated:

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাঙালির আত্ম-সচেতনতা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক স্বাধীনতার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়ে দিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যদি কোনও রাজ্য সবচেয়ে বেশি অংশ নেয়, তা হল পশ্চিমবঙ্গ। এখানেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাঙালির আত্ম-সচেতনতা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক স্বাধীনতার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়ে দিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যদি কোনও রাজ্য সবচেয়ে বেশি অংশ নেয়, তা হল পশ্চিমবঙ্গ। এখানেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
* স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলার অবদান ফের মনে করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
* স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলার অবদান ফের মনে করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
advertisement

বাংলার সেই অবদান ইদানিং অনেকে ভুলে যাচ্ছেন। এ দিন তিনি মনে করান স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক গানের কথা।

মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। তিনি বলেন, ”মধ্যরাতের স্বাধীনতা আমরা পালন করি দীর্ঘদিন ধরে। শুধু স্বাধীনতার সময় নয়, স্বাধীনতার পরও যাঁরা দেশরক্ষা করছে, সবাইকে স্যালুট জানাই, প্রশাসনকেও স্যালুট।”

advertisement

কাজী নজরুল ইসলামের অন্যতম জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান,  ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’র প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ”অনেকেই জানেন না, সে সময় যে গান আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল, তার মধ্যে এটি অন্যতম একটি গান – …।

তিনি আরও বলেন, “এই গানের গীতিকার মোহিনী চৌধুরী, তাঁর বাড়ি ছিল বেহালায়। বেঁচে থাকতে আমি তাঁর বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে এসেছিলাম। কেউ জানে না যে তিনি গানের রচয়িতা। এরকম হতেই পারে। হয়ত একটা গান যিনি লিখছেন, তাঁকে সেভাবে কেউ চিনতে পারে না। হয়ত গানটাই বেশি জনপ্রিয় হয়।”

advertisement

advertisement

স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,  “ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যদি কোনও রাজ্য সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়ে থাকে, তা হল বাংলা। জীবন বলিদান দিয়ে থাকে তার নাম বাংলা। মাটি মানে মৃত্তিকা, মা, জন্মভূমি, কর্মভূমি, ধর্ম, কর্ম, ভালোবাসা, মানবিকতা, মনুষ্যত্ব। বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি।”

এরপরেই কেন্দ্রের বাংলা বিরোধী আচরণ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এসআইআর অর্থাৎ ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের নামে NRC, CAA চালুর চেষ্টা চলছে। ১৯৮২ সালের আগে কোন মা-বাবার বার্থ সার্টিফিকেট আছে? ২০০২ সালে জন্মানো কোন নাগরিকের নাম থাকবে ভোটার তালিকায়? বাংলাকে ক্রমাগত অপমান করে চলেছে দিল্লির সরকার। কেন এত অপমান? মনে রাখবেন, বাংলা এই অপমান মেনে নেবে না। গর্জে উঠবেই।”

advertisement

তাঁর কথায় উঠে আসছে রাজ্যের বাইরে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন,  “বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় কথা বললে অন্য রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন? বাংলায় কথা বলা অপরাধ? নাকি বাংলায় কথা বললে তার কান কেটে দিতে হবে? ভুলে গেছো হেমন্ত মুখ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন, সবার যোগ আছে বাংলার সঙ্গে। অমিতাভ বচ্চন খিদিরপুরে চাকরি করতেন। অনেক সংগীতজ্ঞ হিন্দি সিনেমায় গান গেয়েও বাংলায় ছিলেন। আমরা ভাগাভাগি করি না। বাংলা এই অপমান কোনদিন সহ্য করবে না।”

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
'বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি!' স্বাধীনতায় বাঙালিদের অবদান মনে করালেন মমতা 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল