TRENDING:

Shalimar work limited Shipyard| ১৫৩ বছরের পুরনো জাহাজ কারখানায় প্রাণ ফেরাতে হবে, কোমর বেঁধে নামল রাজ্য

Last Updated:

halimar work limited Shipyard| হাওড়ার এই কারখানা আবার যাতে আগের অবস্থায় ফিরতে পারে, তার জন্যে একাধিক পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ধুঁকতে থাকা জাহাজ তৈরি এবং মেরামতির কারখানা শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের পুনরুজ্জীবনে কোমর বেঁধে নামল রাজ্য সরকার। ১৩৫ বছরের পুরনো এই কারখানাটিতে গত কয়েক দশক ধরেই কাজের অভাব। পরিবহন মন্ত্রকের উদ্যোগে এই অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু হল এবার। ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম কারখানা পরিদর্শন করে এসেছেন। হাওড়ার এই কারখানা আবার যাতে আগের অবস্থায় ফিরতে পারে, তার জন্যে একাধিক পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য।
advertisement

রাজ্যের পরিবহন দফতরের এই কারখানায় তৈরি হয় জাহাজ, ভেসেল। এই কারখানায় তৈরি হওয়া বেশিরভাগ জাহাজই এতদিন নিয়ে নিত ভারতীয় নৌসেনা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরেই কারখানায় পর্যাপ্ত বরাতের অভাব। এই সমস্যা কাটাতেই এবার উদ্যোগী ফিরহাদ হাকিমের দফতর। মঙ্গলবার তিনি শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেড ঘুরে দেখলেন, আর তারপরেই শুরু অ্যাকশান।

কারখানাটিতে এখন পড়ে রয়েছে বেশ কিছু ছোট লঞ্চ। সূত্রের খবর, এই লঞ্চ গুলি মেরামত করে, তাতে বাতানুকুল যন্ত্র বসিয়ে রাজ্য পরিবহণ নিগম প্রমোদ ভ্রমনের ব্যবস্থা করবে। তাতে একদিকে যেমন পড়ে থাকা লঞ্চগুলি ব্যবহার হবে, তেমনই আয় বাড়বে পরিবহণ নিগমের। রাজ্য পর্যটন দফতরকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে।

advertisement

উল্লেখ্য রাজ্য সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যঙ্কের সহায়তায় জলপথ পরিবহণকে আমাদের রাজ্যে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেছে। সফল ভাবে জল-পরিবহণ চালিয়ে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে আধুনিক মানের আরও সুরক্ষিত জলযানের প্রয়োজন হবে। এই জলযান নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শালিমার ওয়ার্কসকে বরাত দিতে চায় রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টা দেখভাল করার জন্য তরুণ আইএএস রাজনবীর কাপুরকে এই কারখানার চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

advertisement

গত এক বছর করোনার জন্য থমকে থাকলেও রাজ্য পরিবহণ নিগমের উদ্যোগে চালু হওয়া গঙ্গাবক্ষে প্রমোদভ্রমণ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ।সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতেই শালিমার ওয়ার্কসকে ব্যবহার করতে চায় রাজ্য সরকার।

শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের অন্যতম আধিকারিক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমাদের বলেন, এই কারখানা তৈরি হয় ১৮৮৫ সালে। কারখানা তৈরি করে টানার-মরিসন লিমিটেড নামক সংস্থা। এর ঠিক ৯৫ বছর পরে ১৯৮০ সালে এই কারখানা অধিগ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখনও পর্যন্ত এই কারখানা থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ৬০০ জাহাজ সরবরাহ করা হয়েছে। বছর তিনেক আগে এখানে তৈরি হওয়া জাহাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যবহার করেছেন।

advertisement

রাজ্যের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ভেসেল, বার্জ, বন্দরে বড় জাহাজ টেনে আনার জন্য টাগ বোট তৈরি করা হবে শালিমার ওয়ার্কার্স লিমিটেডে।

ফিরহাদ হাকিমের কথায়, "নতুন কাজের বরাত পেলেই ঘুড়ে দাঁড়াবে শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেড। রাজ্য পরিবহণ দফতরের অনেক ভেসেল মেরামতির জন্য এখন অনেক ঠিকাদারি সংস্থা বা বেসরকারি সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়। সেই সব কাজ এবার এখানেই করা যাবে। ভবিষ্যতে কলকাতা বন্দর এবং গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের সহযোগী হিসেবেও কাজ করতে পারে শালিমার ওযার্কার্স ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সূত্রের খবর চেষ্টা করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞসহ সংস্থার সাহায্য নিয়ে শালিমার ওয়ার্কার্স লিমিটেডকে যাতে ড্রাই ডক তৈরি করা যায়। সাধারণত নদী সংলগ্ন এলাকায় এই ড্রাই ডক তৈরি করা হয়, যেখানে এই জাহাজ তৈরি বা মেরামত করা হয় তারপর কৃত্রিমভাবে জল ঢুকিয়ে জাহাজকে নদীতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Shalimar work limited Shipyard| ১৫৩ বছরের পুরনো জাহাজ কারখানায় প্রাণ ফেরাতে হবে, কোমর বেঁধে নামল রাজ্য
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল