গত ৮ অগাস্ট সিএপিএফ-এর নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষাটি হয়, তার পর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে এই প্রশ্ন নিয়ে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, "যদি সত্যি এমন প্রশ্ন হয়, বাতিল করা হোক। ইউপিএসসি কর্তাদের অবিলম্বে খারিজ করা হোক। এই নিয়োগ বিজেপির শাখা সংগঠন করছে। প্রশাসন দখল করতে দলদাস তৈরি করছে বিজেপি। এমন চললে কিছুতেই সংবিধান রক্ষিত হবে না।"
advertisement
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য ঠিক উল্টো কথা বলছেন। তাঁর মতে, "পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষার্থীদের যদি সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা যায় তবে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় কৃষি আন্দোলন থাকবে না কেন! যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেতে চাইছেন তাঁরা দেশের অবস্থাটা কতটা জানেন বোঝেন তা বুঝতেই এই প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি বলব বেশ হয়েছে, এমন প্রশ্নই হওয়া উচিত।"
স্তম্ভিত সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি বলছেন, "গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। অথচ এই বিষয়টি স্বচ্ছ পক্ষপাতমুক্ত হওয়া উচিত ছিল। দেশের সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীদের ছোট করা হচ্ছে এই ভাবে। যারা এই চাকরিতে যোগ দেবেন তারা মনে ভেদভাব নিয়েই যোগ কাজে যোগ দিতে আসুন এমনটাই চান নিয়োগকারীরা।"