বন্দর সূত্রের খবর, উপদেষ্টা সংস্থা তাজপুরে কেবলমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ‘ক্লোজ ভায়াবিলিটি’র কথাই বলেছিল। সে জন্য দু’টি উপায় ছিল। প্রথমত, ২৫ কিলোমিটার শিপিং চ্যানেল তৈরি করে সাগর তীরে বন্দর নির্মাণ। দ্বিতীয়ত, জলের মধ্যে ১০ কিলোমিটার রেল-রাস্তা তৈরি করে সমুদ্রের মধ্যে বন্দর নির্মাণ করা। যদি শিপিং চ্যানেল তৈরি করতে হয়, তা হলে প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের খরচও ঘাড়ে চাপবে। এই দুই শর্ত মানা হলে ১৬-১৭ মিটার নাব্যতার বন্দর তৈরি সম্ভব তাজপুরে। হলদিয়া বন্দরের বর্তমান নাব্যতা ৮.৫ মিটার। যদি তাজপুরে ৯-১০ মিটার নাব্যতার বন্দর হয়, তা হলে কলকাতা-হলদিয়ার পণ্যই সেখানে যাবে।
advertisement
জাহাজিরা এখন কেপসাইজ বা দেড় লক্ষ টন পণ্যবাহী জাহাজ এনে পণ্য খালাসে আগ্রহী। পারাদ্বীপ বন্দরে সেই ধরনের জাহাজ আসে। তার পর ছোট জাহাজে পণ্য আসে হলদিয়া ও কলকাতায়। সুবর্ণরেখাতেও সে রকম জাহাজই আসবে। ফলে তাজপুরকে সফল হতে হলে অন্তত ১৮ মিটার নাব্যতার বন্দর চায়। বন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগে কটাক্ষ করেছিল বিরোধীরা। যদিও রাজ্য সরকার এই বন্দরের ব্যাপারের আশাবাদী। রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে যে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে তা আগেই জানানো হয়েছিল। উপযুক্ত পরিকাঠামো নিয়ে বন্দর গঠিত হয়ে গেলে কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে।